দলে আছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, রাফায়েল ভারান ও ব্রুনো ফের্নান্দেজের মতো তারকারা। তবু চলতি মৌসুমের শুরুতে অধিনায়ক হিসেবে হ্যারি ম্যাগুয়েরের ওপরই আস্থা রাখে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ। তবে মাঠের পারফর্ম্যান্স দিয়ে সে আস্থার প্রতিদান দিতে পারছেন না ম্যাগুয়ের। নিত্যনতুন ভুল করছেন, আর তাতে বেশ ঠাট্টাবিদ্রুপের শিকারও হচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে এবার নতুন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। আত্মঘাতী গোল করে প্রতিপক্ষ টটেনহ্যাম ডিফেন্ডার ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর ঠাট্টার শিকার করেছেন তিনি। 

নিজেদের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে তখন ইউনাইটেড এগিয়ে ছিল ২-১ গোলে। তখনই আক্রমণে উঠে আসে টটেনহ্যাম। সন হিউং মিন নিচু একটা ক্রস করেছিলেন, উদ্দেশ্য ছিল মাঝে থাকা রোমেরো। যদিও আর্জেন্টাইন এই ডিফেন্ডার ছিলেন অফসাইডে, ফলে লক্ষ্যভেদ করলেও গোল পেতেন না তিনি। সেই ক্রসটাই বিপদমুক্ত করতে চেয়েছিলেন তিনি। তা তো হলোই না, উল্টো নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে বসেন ম্যাগুয়ের। ইউনাইটেড অধিনায়কের এই ‘গোলে’ ম্যাচে ফেরে ২-২ গোলের সমতা।

আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার রোমেরো তখন ছিলেন ম্যাগুয়েরের পাশেই। তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়া হিসেবে তার দিকে ছুটে যান তিনি। তখন রীতিমতো তার মুখের ওপর চিৎকার করে, মুখ খিঁচিয়ে ঠাট্টা করে বসেন ইউনাইটেড অধিনায়ককে। আত্মঘাতী সেই গোলের পর ম্যাগুয়ের তখন হতবিহ্বল হয়ে বসে ছিলেন মাঠেই।

তবে দৃশ্যটা বদলে গিয়েছে এর কিছু পরই। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আগের দুটো গোল করে দু’বার দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। ম্যাগুয়েরের সেই আত্মঘাতী গোলের পর তৃতীয় বারের মতো ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন সেই রোনালদোই। তাতেই শেষ হাসিটা হাসেন ম্যাগুয়ের। 

আর রোনালদো তার ক্যারিয়ারের ৫৯তম হ্যাটট্রিকটি করে বসেন। তাতে ৮০৭তম গোলটি নিয়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতাও বনে যান পর্তুগিজ এই তারকা। 

এনইউ