প্রধান কোচ সাইফুল বারী টিটুকে বরখাস্ত করায় এখন শেখ রাসেলের ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্বে জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু। ৮ ম্যাচে মাত্র ৫ পয়েন্ট। রেলিগেশন জোনে অবস্থান শীর্ষ বাজেটের এই দলের। বর্তমান সংকট থেকে পরিত্রাণ খুঁজতে ফুটবলারদের মানসিক উদ্দীপনাকেই সবার্ধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত কোচ। 

গতকাল টিটু বরখাস্ত হওয়ায় আজ (সোমবার) সকালে অনুশীলন হয়েছে মিন্টুর অধীনেই। শেখ রাসেলকে এই কঠিন অবস্থা থেকে তুলে আনতে মিন্টুর পরিকল্পনা,‌ ‘সংকটকালীন মুহূর্তে ফুটবলারদের মানসিকভাবে উদ্দীপ্ত করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছি।’ আজ দুপুরে ফুটবলার, কোচ ও ম্যানেজার নিয়ে ক্লাবের চেয়ারম্যান এক সভায় বসেছিলেন। সেই সভায় চেয়ারম্যানও ফুটবলারদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন। 

মানসিক উদ্দীপনা দিয়ে খেলোয়াড়দের সেরা খেলা বের করে আনা ছাড়া এ স্বল্প সময়ে অন্য কোনো বিকল্প দেখছেন না সাবেক এই জাতীয় ফুটবলার,‌ ফিজিক্যাল, ট্যাকটিক্যাল বিষয়ে তেমন কাজ করার নেই এখন। কাজের জায়গা একটাই সেটা সাইকোলিজিক্যাল। 

‘প্রথম লেগে আরো তিন ম্যাচ রয়েছে। তিন ম্যাচে সর্বোচ্চ পয়েন্টই প্রত্যাশা করেন তিনি,‌ তিন ম্যাচে নয় পয়েন্ট। আমার লক্ষ্য থাকবে নয় পয়েন্ট অর্জন করে একটি সুবিধাজনক অবস্থানে যাওয়ার কিন্তু সেটা বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত কঠিন। নয় পয়েন্ট না হলেও অধিক সংখ্যক পয়েন্ট পাওয়ার চেষ্টা করব।’ 

আজ ক্লাব চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে মধ্যবর্তী দলবদল নিয়েও আলোচনা হয়েছে,‌ ‘অন্য দলগুলোতে গোল করছে বিদেশিরা। আমরা তাদের থেকে গোল পাচ্ছি না।  মধ্যবর্তী দলবদলে বিদেশি ফুটবলাররের বিষয়টি চেয়ারম্যান মহোদয় দেখছেন।’ 

ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে মিন্টুই বাকি মৌসুম পরিচালনা করবেন না অন্য কেউ থাকবেন এই বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি, ‘১৮ মার্চ আমাদের ম্যাচ রয়েছে। সেই ম্যাচ নিয়ে আমরা ব্যস্ত। এরপর জাতীয় দলের জন্য লিগ বিরতি। সেই সময় ক্লাব কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’ 

দলের খারাপ অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব পাওয়া মিন্টুর জন্য নতুন কিছু নয়। গত কয়েক মৌসুমে ততোধিকবার ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্বে ছিলেন মিন্টু। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে বিষয়টি অনেকটা কাকতালীয়। এজন্য সংকটকালীন ব্যবস্থাপনার সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতাও হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দলের ফলাফলে ইতিবাচক পরিবর্তনও হয়েছে।’ 

জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু গত কয়েক বছর সাইফ স্পোর্টিংয়ে সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। এবার শেখ রাসেলে ভালো প্রস্তাবের সঙ্গে সাইফুল বারী টিটুরও একটি ভূমিকা ছিল। টিটু বরখাস্ত হওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে শেখ রাসেলে তার কাজ চালিয়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘ক্লাব এখন সংকটময় পরিস্থিতিতে রয়েছে। এই সংকটপূর্ণ সময়ে সহকারী কোচেরও ক্লাব ছেড়ে যাওয়া কোচিং নীতির পরিপন্থী। আমি নীতির বিপক্ষে যেতে পারি না।’ 

এজেড