গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গুঞ্জন উপমহাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ইস্ট বেঙ্গলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে বাংলাদেশের বসুন্ধরা গ্রুপ। ইস্ট বেঙ্গলের কর্মকর্তারা গত দুই দিন আগে বাংলাদেশে আসায় সেই গুঞ্জন আরো জোরালো হয়। আগামীকাল বাংলাদেশ ছাড়ার আগে ইস্ট বেঙ্গলের কর্মকর্তারা আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে। 

সংবাদ সম্মেলনে ইস্ট বেঙ্গলের দুই কর্মকর্তা রুপক সাহা ও দেবব্রত সরকার বলেন, ‘ইস্ট বেঙ্গলের সঙ্গে শেখ রাসেলের পথচলা শুরু হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত আজ হয়েছে।’ পথচলা পরবর্তী ধাপ সম্পর্কে তারা বলেন, ‘আমরা দুই দল একসাথে অনেক কিছু করতে পারি। কিভাবে, কোথায় করব সেটার পদ্ধতিগত আলোচনা হবে সামনে।’ 

ইস্ট বেঙ্গলের পৃষ্ঠপোষক শ্রী সিমেন্ট নেই। বসুন্ধরা গ্রুপ ইস্ট বেঙ্গলের সঙ্গী হচ্ছে কিনা সংবাদ সম্মেলনে কয়েকবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রশ্ন করলেও ইস্ট বেঙ্গলের নির্বাহী সদস্য দেবব্রত সরকার এর উত্তর সরাসরি না দিয়ে বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি শেখ রাসেল ক্লাবের আমন্ত্রণে। আমরাও শেখ রাসেল ক্লাবের চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম ও আজীবন সদস্যপদ দিয়েছি। তখন তিনি দুই বাংলার ক্লাব একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দেন। এখানে আমরা আসার পর দুই ক্লাব একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়।’ শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে আজীবন সদস্যপদ দিয়েছে ইস্ট বেঙ্গল। 

ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব মানেই বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে মোনেম মুন্নার ক্লাব। মোনেম মুন্নাকে নিয়ে ভাবনাও রয়েছে ক্লাবটির, ‘আমাদের নির্বাহী কমিটির সভায় মুন্নার ৪ নম্বর জার্সি ডেডিকেটেড করার কথাও আলোচনা হয়েছে।’ ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে চার নম্বর জার্সিতে খেলতেন সুধীর সরকার। তিনি ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার। একই জার্সি দুইজনকে ডেডিকেটেড করা জটিলতা রয়েছে। 

এখন না থাকলেও ভবিষ্যতে মুন্না কর্নার থাকার কথা বললেন দেবব্রত, ‘ইস্ট বেঙ্গলের জন্ম পূর্ববাংলার লোকের হাত ধরেই। আমাদের এখনো সেই আবেগ রয়েছে। মুন্না আমাদেরও কিংবদন্তি, এখন না থাকলেও ভবিষ্যতে মুন্নার নামে কর্নার বা কিছু হতেই পারে।’ 

ইস্ট বেঙ্গলের চার জনের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে গতকাল বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় গিয়েছিলেন। কমপ্লেক্স মুগ্ধ করেছে তাদেরকে। 

এজেড/এনইউ