ছবি: সংগৃহীত

ক্রিস্টাল প্যালেসকে ৭-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে প্রিমিয়ার লিগের বাকি সবাইকে একটা বার্তাই দিয়েছে লিভারপুল। এদিন ম্যানচেস্টার সিটি সাউদাম্পটনকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে। তবে দুর্দশা বেড়েছে আর্সেনালের, লেস্টারের কাছে ২-১ ব্যবধানে আবারও হেরেছে কোচ মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা।

মৌসুমের শুরুতে অ্যাস্টন ভিলার কাছে ৭-২ ব্যবধানে বিদ্ধস্ত হয়ে লিভারপুল বড় এক ধাক্কাই খেয়েছিলো। এরপর একের পর এক চোটাঘাতে দলের পথচলাটা কঠিনই হয়েছে কেবল। তবে শনিবার রাতে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ম্যাচ দেখলে সেটা বোঝার উপায় কই?

সেলহার্স্ট পার্কে কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ বিশ্রাম দিয়েছিলেন প্রধান গোলদাতা মোহামেদ সালাহকে। তাকে ছাড়াই প্রথমার্ধে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় অল রেডরা। লক্ষ্যভেদ করেন তাকুমি মিনামিনো, সাদিও মানে ও রবার্তো ফিরমিনো। 

দ্বিতীয়ার্ধে জর্ডান হেন্ডারসনের গোলের পর আক্রমণের ধার আরও বাড়াতে কোচ ক্লপ মাঠে আনেন সালাহকে। মাত্র ৩৩ মিনিটেই জোড়া গোল পান মিসরীয় এই ফরোয়ার্ড, সতীর্থ ফিরমিনোকে দিয়ে করান আরও একটি গোল! তাতে প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে প্রতিপক্ষের মাঠে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড গড়েই মাঠ ছাড়ে ক্লপের শিষ্যরা।

আগের ম্যাচেই টেবিলের শীর্ষে থাকা টটেনহ্যামের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিলো লিভারপুল। ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে সে সুতোয় ঢিল পড়তে না দেয়ায় উচ্ছ্বসিত কোচ ক্লপ। বললেন, ‘ছেলেরা এটা করতে পারে, সে সক্ষমতা তাদের আছে। এটা (৭-০) প্রতি সপ্তাহে হয়তো হবে না তবে এমনটা ঘটতেই পারে। আজ যেমন হয়েছে। খুবই কঠিন এক সময় পার করার পর এমন ফল। ছেলেদের সত্যিই নিজেদের নিয়ে গর্বিত হওয়া উচিত।’ এই জয়ের ফলে টানা তৃতীয় মৌসুমে বড়দিনের ছুটিতে লিগের শীর্ষে থেকেই বিরতিতে যাওয়া নিশ্চিত হয়েছে ক্লপের শিষ্যদের।

শিরোপাপ্রত্যাশী ম্যানচেস্টার সিটিও বড় জয় পেতে পারতো এদিন। কিন্তু সাউদাম্পটনের মাঠ গুডিসন পার্কে শনিবার রাতে অজস্র গোলের সুযোগ নষ্ট করে গার্দিওলার শিষ্যরা ম্যাচটা জেতে ১৬ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার পাস থেকে রাহিম স্টার্লিংয়ের করা গোলে। 

সিটি জয়ে ফিরলেও আর্সেনাল পড়ে গেছে ঘোর বিপদেই। শনিবার প্রতিপক্ষের মাঠে রব হোল্ডিংয়ের আত্মঘাতী গোলের পর নিকলাস পেপের গোলে সমতা ফিরিয়েছিলো আর্তেতার শিষ্যরা। তবে সে সুখ খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি দলটির, ৪৫ মিনিটে গিলফি সিগার্ডসনের কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে ইয়েরি মিনা এভারটনের জয়সূচক গোলটি করেন। তাতে টানা সপ্তম ম্যাচে জয়হীনতা নিশ্চিত হয় আর্সেনালের।

এনইউ