ছেলেদের দলে রোগটা ভুগিয়েছে বেশ। প্রথম লেগে এগিয়ে গিয়েও ফিরতি লেগে লজ্জার হারে শেষ পাঁচ বছরে দুই বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ স্বপ্ন শেষ হয়েছিল লিওনেল মেসির বার্সার।  উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ফিরতি লড়াইয়ে ভলফসবুর্গের মাঠে আজ যেভাবে খেলেছে দলটি,ছেলেদের সে রোগটা মেয়েদের দলকেও পেয়ে বসার ভয়ই জেগেছিল বার্সেলোনায়। অবশেষে সেই ভয়কে জয় করতে পেরেছে মেয়েরা। জার্মান দলটির কাছে ২-০ গোলে হেরেও সামগ্রিক লড়াইয়ে ৫-৩ গোলের লিড ধরে রেখে পা রেখে ফেলেছে টানা দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে।

টানা ৪৫ ম্যাচে জিতে এই ম্যাচে পা রেখেছিলেন অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াসরা। ভলফসবুর্গের মাঠেও জয়টা সহজই হবে, ধারণা করা হচ্ছিল তেমনই। তবে জার্মান মুল্লুকে সময়টা যে মোটেও ভালো যাচ্ছে না ক্লাবের, সেটা তাদের সর্বজয়ী নারী দলও এড়াতে পারেনি।

ছেলেদের দল এই মৌসুমে এই জার্মানিতেই বায়ার্ন মিউনিখের কাছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্বে হেরেছিল ৩-০ গোলে, যেটা তাদের দেখিয়ে দিয়েছিল ইউরোপা লিগের পথ। এরপর ইউরোপার কোয়ার্টার ফাইনালে ১-১ ড্র করেছিল আইনট্র্যাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে। ফিরতি লেগে ৩-২ গোলে হেরে বিদায়ই নিতে হয়েছিল প্রতিযোগিতাটি থেকে। 

তেমন কিছুর ভয় প্রথমার্ধে না হলেও দ্বিতীয়ার্ধে ঠিকই এসে হাজির হয়েছিল বার্সা ডাগআউটে। আগের লেগে বিশ্বরেকর্ড ৯১,৬৪৮ দর্শকের সামনে ভলফসবুর্গকে ৫-১ গোলে হারিয়েছিল বার্সা। ফিরতি লেগে তাই অন্তত চার গোল করতে হতো স্বাগতিকদের। ২০১২-১৩ আর ২০১৩-১৪ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন ভলফসবুর্গ তার অর্ধেক কাজ সেরে ফেলেছিল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই। ৪৭ মিনিটে তায়বা ওয়াসমুথের গোলের পর ৫৯ মিনিটে দূরপাল্লার শটে জিল রুডের গোলে বার্সাকে নাড়িয়ে দেওয়া থেকে দুই গোলের দূরত্বে চলে আসে স্বাগতিকরা।

তবে এরপরই বার্সা সম্বিত ফিরে পায়। রক্ষণ সামলে রেখে হজম করেনি আর কোনো গোল। তাতেই টানা দ্বিতীয় আর চার বছরে তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যায় অ্যালেক্সিয়াদের। আগামী ২১ মে প্রতিযোগিতার ফাইনালে পিএসজি বা লিওঁর কোনো এক দলের বিপক্ষে মাঠে নামবে দলটি।

এনইউ