ইন্টার মিলানে লাউতারো মার্টিনেজের আগুনে রুপ হরহামেশাই দেখা যায়। ইতালিতে খেলতে নামলেই গোল আর অ্যাসিস্টের ফুলঝুরি ছোটান তিনি। সেই ফর্মটা আর্জেন্টিনার জার্সিতেও টেনে আনেন বেশ। কোচ লিওনেল স্ক্যালোনির অধীনে লিওনেল মেসি, আনহেল ডি মারিয়াদের ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ গোলের কীর্তিটা তো তার নামে আর এমনি এমনিই আসেনি!

সে ধারাটা ইতালির বিপক্ষে লা ফিনালিসিমাতেও টেনে আনলেন আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকার। একটি করে গোল করে আর করিয়ে আন্তঃমহাদেশীয় এই শিরোপা জয়ে রাখলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

ইতালির বিপক্ষে শুরু থেকেই পুরো আর্জেন্টিনা দলের মতো মার্টিনেজও ছিলেন বেশ চনমনে। লিওনেল মেসি, আনহেল ডি মারিয়ার সঙ্গে মিলে ইউরো চ্যাম্পিয়নদের রক্ষণভাগকে ম্যাচের প্রথম বাঁশি থেকেই তটস্থ রেখেছেন তিনি। প্রথম থেকে ইতালির রক্ষণের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার ফল হাতেনাতেই পেয়েছে আর্জেন্টিনা। ২৮ মিনিটে বক্সের বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল পায়ে দারুণ দৌড়ের পর গোল মুখে মাপা স্কয়ার করেন মেসি, সেখান থেকে ঠাণ্ডা মাথায় ট্যাপ ইন করে দলকে ফিনালিসিমায় এগিয়ে দেন মার্টিনেজ। আর্জেন্টিনার হয়ে ৩৮ ম্যাচে এটি তার ২০ তম গোল।

ম্যাচের প্রথম গোলদাতা মার্টিনেজ এরপর নিজেই বনে যান গোল তৈরির কারিগর। প্রথমার্ধ শেষের একটু আগে তার রক্ষণচেরা থ্রু বল ধরে ইতালি গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডি মারিয়া। এই গোলটি যেন গত বছর ব্রাজিলের বিপক্ষে তার কোপা আমেরিকাজয়ী গোলের কার্বন কপি!

২০১৮ সালে আর্জেন্টিনার হয় অভিষেক হয়েছিল লাউতারো মার্টিনেজের। ২০১৮ সালের অক্টোবরে সৌদি আরবের রিয়াদে প্রিন্স ফয়সাল বিন ফাহাদ স্টেডিয়ামে ইরাকের বিপক্ষে এক প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে নিজের প্রথম গোল করেছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে মেক্সিকোর বিপক্ষে পেয়েছেন জাতীয় দলের হয়ে তার একমাত্র হ্যাটট্রিক। 

২০২২ কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার মূল স্ট্রাইকার হিসেবে যে কোচ লিওনেল স্কালোনির প্রথম পছন্দ হতে যাচ্ছেন তিনি, তা বলাই বাহুল্য। গত কোপা আমেরিকা, বিশ্বকাপ বাছাই এবং সবশেষ ফিনালিসিমায় দলে তার ভূমিকা সেটারই ইঙ্গিত দেয়। 

দারুণ নৈপুণ্যে দেশকে ফিনালিসিমা জিতিয়ে তার নজর নিশ্চয়ই এখন বিশ্বকাপে। নিজের প্রথম বিশ্বকাপকে পায়ের জাদুতে আলোকিত করতে প্রস্তুত এই আর্জেন্টাইন, ফিনালিসিমায় তার সেই প্রস্তুতিরই এক ঝলক দেখা গেল।

এইচএমএ/এনইউ