প্রায় ১১ মাসের এদিক ওদিক। সেই মঞ্চ ছিল ফাইনাল, এবারও। আনহেল ডি মারিয়া গোল করলেন দুটোতেই। আর্জেন্টিনাও জিতল দুটো শিরোপা। মিল এখানেই শেষ নয়। ইতালির বিপক্ষে গত রাতে যে গোলটা করেছেন তিনি, সেটার ধরন আর্জেন্টিনার ব্রাজিল বধের স্মৃতিও ফিরিয়ে এনেছে রীতিমতো!

সেই কোপা আমেরিকা ফাইনালের প্রায় ১১ মাস পর আরও এক ‘ফাইনালে’ নেমেছিল আর্জেন্টিনা। প্রতিপক্ষ ছিল ইতালি। কোচ লিওনেল স্ক্যালোনির আর্জেন্টিনা শুরু থেকেই ছিল সপ্রতিভ, ডি মারিয়াও। মাঝে একটু খেই হারালেও প্রথম গোলের পর ম্যাচের চালকের আসনে চলে আসে দলটি। 

এরপর বিরতির একটু আগে ডি মারিয়া করেন গোলটি। রক্ষণ থেকে এমিলিয়ানো মার্টিনেজের বাড়ানো লং বল প্রতিপক্ষ অর্ধে পেয়ে যায় লাওতারো মার্টিনেজকে। তারই সঙ্গে ছিলেন ডি মারিয়া। তাতে সৃষ্টি হয়েছিল ২ বনাম ৩ পরিস্থিতি। এরপর লাওতারোর পাস সে বাধাটাও ডিঙিয়ে যায়, ইতালি গোলরক্ষক ডনারুমাকে একা পেয়ে যান ডি মারিয়া। এরপরই করে বসেন চিপ, তা ডনারুমাকে ফাঁকি দিয়ে আছড়ে পড়ে জালে। 

গোলের বিল্ড আপ যেমনই হোক, ডি মারিয়া যেভাবে ফিনিশ করেছেন, সেটাও মূলত ফিরিয়ে এনেছে ব্রাজিল ম্যাচের স্মৃতি। গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জড়িয়েছেন জালে, কোপা আমেরিকার ফাইনালেও তো এমনই করেছিলেন! সেদিন মাঝমাঠ থেকে রদ্রিগো ডি পলের বাড়ানো বলটা গোলরক্ষক এডারসনের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান ডি মারিয়া। মিল অবশ্য এখানেই শেষ নয়, সে গোলের মতো গত রাতের গোলও এসেছে ডান পাশ থেকে!

ফিনালিসিমা আর কোপার আগেও আর্জেন্টিনার আরও এক ফাইনালে গোল আছে ডি মারিয়ার নামের পাশে। ২০০৮ সালের অলিম্পিক ফাইনালে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে লিওনেল মেসির বাড়ানো পাস থেকে গোল করেন তিনি। 

কাকতালীয়ভাবে সেই গোলটাও এসেছিল চিপ থেকেই। সেই ম্যাচে মেসির পাস ধরে বাম পাশ দিয়ে আক্রমণে উঠে যান তিনি। এরপর বল গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠিয়ে আর্জেন্টিনাকে এনে দেন অলিম্পিকের সোনা। 

আর্জেন্টিনার ফাইনাল আর ডি মারিয়ার চিপ করা গোল তবে সমার্থক!

এনইউ