‘ফিক্সিং উৎসব’ থেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ফর্টিজ
এবারের বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরে বেশি আলোচনায় ছিল। বিশেষ করে স্পট ফিক্সিং ব্যাধিতে নিয়ে আক্রান্ত প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় এই স্তর। বিতর্ককে সঙ্গী করে চলা এই লিগে অবশ্য নিজেদের নাম প্রিমিয়ারে নিশ্চিত করেছে ফর্টিজ ফুটবল ক্লাব লিমিটেড।
ফর্টিজ এফসি প্রিমিয়ারে উঠবে অনুমেয়ই ছিল। গতকাল বুধবার বীরশ্রেষ্ঠ কমলাপুর স্টেডিয়ামে কাওরান বাজার প্রগতি সংঘকে ৫-০ গোলে হারিয়ে ফর্টিজের প্রিমিয়ার খেলা নিশ্চিত হয়। ২০ ম্যাচে ফর্টিজের পয়েন্ট ৪৩। পরবর্তী দুই ম্যাচ হারলেও ফর্টিজ পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ দুই দলের মধ্যেই থাকবে। চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের শীর্ষ দুই দল প্রিমিয়ারে আর সর্বনিম্ন পয়েন্টধারী দুই দল অবনমিত হয়ে সিনিয়র ডিভিশনে খেলবে।
বিজ্ঞাপন
১৯ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে আছে আজমপুর ফুটবল ক্লাব। এক ম্যাচ বেশি খেলে দুই পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় স্থানে নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব। বাকি তিন খেলায় পাঁচ পয়েন্ট পেলেই দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত আজমপুরের। ঘরোয়া ফুটবলে নতুন এই ক্লাবটি দ্বিতীয় হলেও প্রিমিয়ার খেলা অনিশ্চিত হবে পাতানো ম্যাচের অভিযোগ থাকায়। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রিমিয়ারে ওঠা তো হবেই না, উল্টো আরো বড় শাস্তির মধ্যে পড়তে পারে ক্লাবটি।
১২ দলের চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে ২২ রাউন্ডের খেলা। এখন চলছে ২০ তম রাউন্ড। দুই রাউন্ড পরেই শেষ হবে এই লিগ। স্পট ফিক্সিংয়ের বিষয়টি বাফুফে এখনো তদন্ত করছে। এই বিষয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানিয়েছেন, ‘পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি বেশ কয়েকটি সভা করেছে। জুনের মধ্যে তারা কাজটি শেষ করতে পারবে বলে আশা করি।’
বিজ্ঞাপন
পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি তাদের পর্যবেক্ষণ বাফুফের কাছে দেবে। এরপর সেটি ডিসিপ্লিনারি কমিটির কোর্টে যাবে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ডিসিপ্লিনারি কমিটি তখন সিদ্ধান্ত নেবে।
এজেড/এটি/এনইউ