পিএসজির কোচ হয়ে আসতে পারেন জিনেদিন জিদান, এমন একটা গুঞ্জন বহুদিন ধরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে ফ্রান্সের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে। এবার ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁও জানালেন, ফরাসি এই কিংবদন্তিকে দেখতে চান পিএসজিতে লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপে ও নেইমারদের কোচ হিসেবে।

তারকাখচিত দল গড়ায় গেল মৌসুমের শুরুতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জন্য ফেভারিট হিসেবে দেখা হচ্ছিল পিএসজিকে। তবে সেই পিএসজির যাত্রা শেষ হয়েছে শেষ ষোলোয় রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে। এরপরই মূলত পচেত্তিনোর কোচের পদ নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল। 

এরপরই দলটির পরবর্তী কোচ হবেন কে, এমন গুঞ্জন ডালপালা মেলতে শুরু করে। জিনেদিন জিদান থেকে জোসে মরিনিও, অনেক কোচের নামই এসেছে এখন পর্যন্ত। তবে ম্যাক্রোঁর পছন্দ এক্ষেত্রে জিদানই। জানালেন, আদর্শ পরিস্থিতিতে জিদান নিজের দেশে ফিরে পিএসজিকে ইউরোপীয় শিরোপা জেতাতে সাহায্য করতেন।

সম্প্রতি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম আরএমসিস্পোর্তকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘জিনেদিন জিদানের সঙ্গে আমার কথা হয়নি, কিন্তু তার গুণমুগ্ধ আমি। খেলোয়াড় হিসেবে তো বটেই, কোচ হিসেবেও। ফরাসি ফুটবলে আমাদের এমন খেলোয়াড় আর কোচেদের দরকার, যারা শিরোপা জিততে পারে, সেটা আমাদের ক্লাবগুলোকে সমৃদ্ধ করবে।’

খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি সর্বকালের অন্যতম সেরাদের কাতারে নিয়ে গেছেন নিজেকে। এরপর কোচ হিসেবেও নাম করেছেন বেশ। টানা তিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা প্রথম কোচ বনে গেছেন তিনি। তাকে পেলে ফ্রান্সের ফুটবলের প্রভাব আরও বাড়বে বলে অভিমত ম্যাক্রোঁর।

পিএসজির কোচ হিসেবে জিদানকে দেখতে চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সে ফ্রান্সে বড় একটা ক্লাবকে কোচিং করাতে ফিরে আসলে ফ্রান্সের ফুটবলের প্রভাব আরও বাড়বে। আমি বলতে পারি, ফ্রান্স খেলাধুলা ও ফুটবলের জন্য দারুণ একটা দেশ, এখানকার দর্শকরা খেলাধুলাকে পছন্দ করে। সেরাদের এখানে পাওয়াটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

এমবাপেকে পিএসজিতে থাকতে রাজি করিয়েছিলেন তিনি, এমন গুঞ্জন আছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে। তবে ম্যাক্রোঁ জানালেন, সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন এমবাপে নিজেই। বললেন, ‘এমবাপের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল, তবে সে নিজের বিবেককে প্রাধান্য দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে দেখিয়েছে যে সে পরিণত হয়ে উঠেছে, নিজের ক্যারিয়ারের দিকে সে মনোযোগী;  তার  দায়িত্বজ্ঞান আছে, আর সে দলের প্রতি নিবেদিতও।’ 

এনইউ/এটি