মোহামেদ সালাহ ও সন হিউং মিন, দু’জনের হাতেই সবশেষ মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার উঠেছে। দু’জনেই গেল মৌসুমে ২৩টি করে গোল করেছেন, নিজ নিজ দলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে উতরে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় অবদানই রেখেছেন তারা। তবু প্রোফেশনাল ফুটবলার্স অ্যাসোসিয়েশনের মূল্যায়নে দু’জনের ক্ষেত্রে দেখা মিলল অদ্ভুত এক বৈপরীত্যের। মোহামেদ সালাহ জিতলেন বর্ষসেরার পুরস্কার। অন্যদিকে সন হিউং মিন বর্ষসেরা খেলোয়াড় তো দূর অস্ত, নেই বছরের সেরা একাদশেই!

সবশেষ মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুল শিরোপার জন্য লড়েছে একেবারে শেষ দিন পর্যন্ত। ২৩ গোল করে আর ১৩ টি গোল করিয়ে এতে বড় অবদানই রেখেছিলেন সালাহ। ওদিকে সন হিউং মিনের দল টটেনহ্যাম হটস্পার শেষ মুহূর্তে কেটেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টিকিট। পুরো মৌসুম লিগ টেবিলের ৭-৮ এ ঘুরেফিরে শেষমেশ যে শীর্ষ চারে জায়গা করে নিয়েছে দলটি, তার পেছনে বড় অবদান সনের। ২৩ গোল করার পাশাপাশি তিনি করিয়েছেন ৯টি গোল। 

গোল করানোর দিক থেকে সালাহ এগিয়ে আছেন চার গোলের ব্যবধানে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ান ফরোয়ার্ড সনকে এগিয়ে রাখছে তার গোল করার ধরন। ২৩ গোলের একটিও আসেনি পেনাল্টি থেকে, যে কারণে লিগের শেষে আলোচনাও কম হয়নি। 

শেষমেশ অবশ্য সালাহই জিতলেন পিএফএ বর্ষসেরার পুরস্কার। আছেন পিএফএর বর্ষসেরা একাদশেও। তবে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে সালাহর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন যিনি, সেই সন হিউং মিন বর্ষসেরা তো নয়ই, নেই সেরা একাদশেও!

প্রিমিয়ার লিগের ছয়ে শেষ করা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো অবশ্য আছেন এই তালিকায়। আছেন সালাহর লিভারপুল সতীর্থ সাদিও মানে। এদিকে পিএফএ বর্ষসেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন ফিল ফোডেন। এর আগে গেল বছরও এই পুরস্কার ঘরে তুলেছিলেন তিনি। 

পিএফএ বর্ষসেরা একাদশ-
অ্যালিসন বেকার (লিভারপুল);
ট্রেন্ট অ্যালেকজান্ডার আর্নল্ড (লিভারপুল), ভার্জিল ফন ডাইক (লিভারপুল), অ্যান্টোনিও রুডিগার (চেলসি), জোয়াও ক্যানসেলো (ম্যানচেস্টার সিটি); 
কেভিন ডি ব্রুইনা (ম্যানচেস্টার সিটি), থিয়াগো আলকান্তারা (লিভারপুল), বার্নার্দো সিলভা (ম্যানচেস্টার সিটি);
সাদিও মানে (লিভারপুল), ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড) ও মোহামেদ সালাহ (লিভারপুল)।

এনইউ