মোহামেডান নতুন কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকের অধীনে প্রথম জয় পেল। আজ সোমবার কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে স্বাগতিক মোহামেডান ৩-১ গোলে শেখ জামাল ধানমন্ডিকে হারায়। 

মানিক গত কয়েক বছর শেখ জামালেই কোচিং করিয়েছেন। গত মৌসুমে আকস্মিকভাবে শেখ জামাল তাকে কোচ থেকে বরখাস্ত করে। মানিক শেখ জামালকে হারিয়ে এক প্রকার মধুর প্রতিশোধই নিয়েছেন। চলতি মৌসুমে শেষের দিকে মোহামেডানের অস্ট্রেলিয়ান কোচ শেন লেন কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন মোহামেডান তার সাবেক খেলোয়াড়কে মানিককে মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য দায়িত্ব দিয়েছে। মানিক মোহামেডানে তার প্রত্যাবর্তন ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে হেরেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচেই জয়ের ধারায় ফিরেছে। 

মোহামেডান ম্যাচটি জিতলেও আফুসির শেখ জামাল দুর্দান্তই খেলেছে। ফরিদপুরের ছেলে মোরসালিনের অসাধারণ গোলে ৩৪ মিনিটে মোহামেডান ম্যাচে লিড পায়। এর আগে অবশ্য মোহামেডানের একটি আক্রমণ পোস্টে লেগে ফেরত আসে। চার মিনিট পর শেখ জামাল গোল করে ম্যাচে সমতা আনে। 

বিরতির আগেই আবার মোহামেডানকে লিড এনে দেন অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে। পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়িয়ে বিরতিতে ড্রেসিংরুমে যায় মোহামেডান। বিরতির পর শেখ জামাল মোহামেডানকে চেপে ধরে। জামালের একটি জোরালো আক্রমণ গোল লাইন অতিক্রম হয়েছিল বলে দাবি তুলেছিল খেলোয়াড়রা। রেফারি অবশ্য তাদের আবেদন গ্রাহ্য করেনি। এর কিছুক্ষণ পর জামালের আরেকটি গোল বঞ্চিত হয় ক্রসবারে লাগায়। 

জামাল যখন গোল বঞ্চিত তখন মোহামেডান আক্রমণ করে আরেকটি পেনাল্টি পায়। ডান প্রান্ত থেকে মোহামেডানের করা একটি ক্রসে জামালের ডিফেন্ডারের হাতে লাগে। রেফারি বিটুরাজ বড়ুয়া পেনাল্টির বাঁশি বাজান। অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। 

পাঁচ মিনিট ইনজুরি সময়ে জামাল মোহামেডানকে চেপে ধরে। আরো একটি আক্রমণ জামালের পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ফলে ৩-১ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় আফুসির দলকে। দ্বিতীয় লেগে দায়িত্ব নেয়া আফুসি ইতোমধ্যে তিনটি ম্যাচে হেরেছেন। শেখ জামাল টানা দুই হারে তৃতীয় স্থান হারিয়েছে। সাইফ স্পোর্টিং এক ম্যাচ কম খেলে ও বেশি গোল ব্যবধান থাকায় ৩০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে। জামাল ১৭ ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে। মানিকের মোহামেডান ১৭ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ৬ নম্বরে। 

এজেড/এটি/এনইউ