গ্রীষ্মকালীন দলবদলের বাজারে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো যেন যাযাবর পথিক। ম্যানচেস্টার উইনাইটেড ছাড়তে বিভিন্ন ক্লাবের দরজায় কড়া নাড়লেও কোথাও যেন ঠাই মিলছে না তার। গত কয়েকদিন ধরে শোনা যাচ্ছে, রোনালদো স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে যেতে চান। প্রয়োজনে তিনি বেতন কমাতেও প্রস্তুত। এমন আলোচনা শুরু হতেই রোনালদোর বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন অ্যাটলেটিকো সমর্থকরা। তারা এবার প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, তাদের প্রিয় ক্লাবে রোনালদোকে চান না।

বুধবার এক প্রীতি ম্যাচে স্পেনের তৃতীয় স্তরের দল নুমানসিয়ার মুখোমুখি হয় অ্যাটলেটিকো। মৌসুম শুরুর আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে মাঠে নেমে ৪-০ গোলের প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে তারা। এদিন অ্যাটলেটিকো সমর্থকরা মাঠে বেশ কয়েকটি ব্যানার নিয়ে আসেন। যেখানে লেখা ছিল, ‘রোনালদোকে চাই না।’

পর্তুগিজ মহাতারকার ওপর আতলেতিকো সমর্থকদের এই রাগের কারণ খুব যৌক্তিক। রিয়াল মাদ্রিদে খেলার সময় তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের কম যন্ত্রণা দেননি রোনালদো। ক্যারিয়ারে এই অ্যাটলেটিকো বিপক্ষেই সবচেয়ে বেশি ৩৫টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগে অ্যাটলেটিকো প্রতিবার তাদের কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছে। রোনালদো না থাকলে তাদের ঘরে আরও কিছু ট্রফি যুক্ত হতে পারতো। তাহলে সিআর সেভেনকে অ্যাটলেটিকো ভক্তরা মেনে নেবেন কেন?

শুধু নুমানসিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ব্যানার টাঙিয়েই ক্ষান্ত যাননি অ্যাটলেটিকো সমর্থকরা। তাই টুইটারে হ্যাশট্যাগ সিরিআরসেভেন দিয়ে চলছে রোনালদোবিরোধী প্রতিবাদ। তাদের একটাই দাবি, কোনোভাবেই রোনালদোকে দলে নেওয়া যাবে না। একজন লিখেছেন, এই খেলোয়াড় যদি অ্যাটলেটিকোতে আসে, তাহলে আমি ক্লাব সমর্থক হিসেবে নিবন্ধন বাতিল করব। আরেকজন লিখেছেন, সব ক্লাবের সমর্থকদের উচিত রোনালদোকে বর্জন করা।

আরেক সমর্থকের বক্তব্য হলো, রোনালদো ‘ভাঁড়’ ছাড়া কেউ নন, রোনালদো এমন এক ভাঁড় ও দলে এলে ড্রেসিংরুমের পরিবেশ নষ্ট হবে। পাশাপাশি রোনালদোর বিরুদ্ধে অনলাইনে পিটিশন নেওয়া শুরু করেছেন অ্যাটলেটিকো-ভক্তরা। ফলে অ্যাটলেটিকোয় রোনালদোর যোগ দেওয়ার রাস্তা কার্যত বন্ধই বলতে হবে!

কিন্তু এদিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে রোনালদোর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি। সব দুয়ার বন্ধ হওয়ায় আগামীর বিষয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার ক্লাবে আসা পর্তুগিজ তারকা পরদিন দলের খেলা দেখলেন সাইডলাইনে বসে। ম্যাচটিতে মাঠে কোনো দর্শক ছিল না। ব্রুনো ফার্নান্দেস ও মার্কাস র‍্যাশফোর্ডের সঙ্গে সাইডলাইনে বসে খেলা দেখেন রোনালদো। 

টিআইএস