চট্টগ্রাম আবাহনী ও মোহামেডান ম্যাচের একটি দৃশ্য। ছবি : বাফুফে

চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের ম্যাচে ঝামেলা কম হয়নি। লালকার্ড দেখতে হয়েছে সাদা কালোদের দলনেতা আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স ও চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যানেজার আরমান আজিজকে। এমন দ্বৈরথে হারেনি কেউই। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে এগিয়ে থেকেও মোহামেডানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে চট্টগ্রাম আবাহনী।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে দুই দল। ১৫ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। দুর্দান্ত এক গোল করেন রাকিব হোসেন। প্রথমার্ধে শত চেষ্টা করেও সেই গোল শোধ দিতে পারেনি সাদা কালোরা। দ্বিতীয়ার্ধে সেই সুযোগ পেয়ে যান শহীদ রাকিব খান। মালির ফরোয়ার্ড সুলেমান দিয়াবাতের সহায়তায় গোল করেন তিনি। সমতায় ফেরে তার দল। 

কিন্তু এরপরেই ঘটে দুর্ঘটনা। মোহামেডানের আতিকুজ্জামান থ্রোয়িং করেন। বল গিয়ে লাগে চট্টগ্রাম আবাহনীর মিডফিল্ডার রাকিব হোসেনের গায়ে। এ নিয়ে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন মোহামেডানের দলনেতা আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স ও চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যানেজার আরমান আজিজ। 

প্রিন্সের ভাষ্যমতে, ‘আরমান আজিজ অকথ্য ভাষায় গালি দিচ্ছিলেন সাদা কালোদের বিদেশি কোচ শন লেনকে। তাই আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিই।’ এটাই চোখ এড়ায়নি রেফারি ভুবন মোহান তরফদারের। তিনি সঙ্গে সঙ্গে দু’জনকেই লালকার্ড দেখিয়ে বের করে দেন ডাগআউট থেকে।

এদিকে ম্যাচের শেষ সময়ে মোহামেডানের গ্যালারিতে এসে এক দর্শক সাদা কালো পতাকা ছিঁড়ে ফেলে। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় গ্যালারিতে। ওই দর্শককে অন্যরা মারতে গেলে নিরাপত্তা কর্মীরা এসে পরিস্থিতি ঠান্ডা করেন। শেষে দু’দলই হার না মেনে ড্র করে মাঠ ছাড়ে। 

এই ড্রয়ে ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চমস্থানে উঠে এলো মোহামেডান। সমান পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে এক ম্যাচ বেশি খেলা চট্টগ্রাম আবাহনী।

এমএইচ