চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের সামনে আবারও পড়েছে বার্সেলোনা। গেল বছর এই বায়ার্নের কাছে দুই হারই কাতালানদের ইউরোপা লিগে যাওয়ার পথ গড়ে দিয়েছিল। তাই শঙ্কাটা এবারও থেকে যাচ্ছে, চলতি গ্রীষ্মকালীন দলবদলে বিশাল অর্থ ব্যয় করে এত্তএত খেলোয়াড় দলে ভেড়ানোর পরও। 

সে শঙ্কাটা মুখ ফুটে না বললেও কোচ জাভি হার্নান্দেজ জানালেন, তাদের গ্রুপতা বেশ কঠিন। এতটাই যে, শেষ ২০ বছরেও এর চেয়ে বেশি কঠিন গ্রুপ আর হয়নি!

আরও পড়ুন>> চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ড্র: আবারও বায়ার্নের সামনে বার্সা

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘সি’ গ্রুপে কেবল বায়ার্ন মিউনিখই বার্সেলোনার বড় প্রতিপক্ষ নয়। সঙ্গে আছে ইন্টার মিলানও। এই তিন দলেরই আছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার ইতিহাস।

এখানেই শেষ নয়, তিন দল অন্তত এক বার করে জিতেছে ট্রেবলও। বার্সা আর বায়ার্নের দুইবার করে মৌসুমে লিগ, কাপ আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার ইতিহাসও আছে। তিন ট্রেবলজয়ী দল একই গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে আর কখনোই মুখোমুখি হয়নি। অন্য দলটা ভিক্তোরিয়া প্লজেন। তবে তাতে গ্রুপটা সহজ হয়ে যাচ্ছে না একটুও।  

ফলে এই গ্রুপকে মৃত্যুকূপ বলে দেওয়া চলে অনায়াসেই। এই কারণেই কি না, গ্রুপিংয়ের পর থেকেই আলোচনা হচ্ছে দেদারসে। ইস্তাম্বুলে ড্রয়ের পরে বার্সেলোনার ক্রীড়া ব্যবস্থাপক জর্দি ক্রুইফ বলেই ফেলেছিলেন, ভোগান্তি অপেক্ষা করছে বার্সার জন্য।

আরও পড়ুন>> মেসি-নেইমারের বিধ্বংসী পিএসজির সামনে পড়ছে বার্সা!

তার ভাষায়, ‘আমরা শক্তিশালী ও বেশ গুরুত্বপূর্ণ দলের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি। গ্রুপটা কঠিনই হতে যাচ্ছে। এটা মৃত্যুকূপ। এই মৃত্যুকূপ উপভোগের, ভোগান্তিরও।’

যদিও বার্সেলোনার আরেক কর্তা শুনিয়েছিলেন আশার বাণী। বলেছিলেন, ‘দুশ্চিন্তা শব্দটাকে ভুলে যেতে হবে আমাদের। আমাদের আশাবাদীই হতে হবে।’

আরও পড়ুন>> মেসিকে ফেরানোর প্রথম পদক্ষেপ সেরে ফেলেছে বার্সা

জাভিও কথায় প্রতিধ্বনিত হলো জর্দি আর রাফার সুরের মিশেল। বার্সা কোচ বললেন, ‘আমাদের লক্ষ্যটা থাকবে যে কোনো দলকেই হারিয়ে দেওয়ার। তবে এটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ২০ বছরের সবচেয়ে কঠিন গ্রুপ, এ নিয়ে কোনো সন্দেহই নেই।’

তবে কঠিন গ্রুপ বলে মোটেও আশা হারাচ্ছেন না কোচ জাভি। বলছেন, ‘আমরা চলতি দলবদলে বেশ কিছু শক্তিশালী খেলোয়াড় কিনেছি। আমাদের আশাবাদী হতেই হবে।’

এনইউ