চলতি মাসে বাংলাদেশের ফুটবলে অত্যন্ত ব্যস্ত সময়। নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় সাফের দুই টুর্নামেন্টে আছে বাংলাদেশের দুই দল। আগামীকাল এএফসি অ-২০ বাছাই টুর্নামেন্ট খেলতে বাহরাইন যাচ্ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল দল। 

দশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও সেরা পাঁচ রানার্স (স্বাগতিক দল রানার্স আপ হলে সেরা ছয় রানার্স আপ) মূল পর্বে খেলবে। বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ নেপাল ও ভূটান এর সঙ্গে স্বাগতিক বাহরাইন এবং কাতার। বাহরাইন ও কাতার বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিমত্তায় এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশের কোচ রাশেদ আহমেদ পাপ্পু মূল পর্বে খেলার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, ‘আমরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যেই যাচ্ছি। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন না হলে সেরা রানার্স আপ হয়ে চূড়ান্ত পর্ব খেলতে চাই।’ 

কিছু দিন আগে ভারতে সাফ অ-২০ খেলে আসা দশ জনের বেশি ফুটবলার রয়েছেন সাফ অ-১৭ দলে। এতে তেমন সমস্যা দেখছেন না কোচ, ‘সাফ অ-২০ দলের মূল একাদশের মাত্র দু’জন খেলোয়াড় অ-১৭ সাফ খেলছে।’ 

সাফ অ-২০ দলের খেলোয়াড়রা অ-১৭ দলে রয়েছেন। কিন্তু সিনিয়র জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা অ-২০ দলে নেই। বিশেষ করে ইয়াসিন আরাফাত এবং রিমন হোসেন অ-২০ দলে খেলার যোগ্য ছিলেন। সাফ অ-২০ এর সময় ক্লাবগুলো ছাড়েনি। এখন তারা সিনিয়র জাতীয় দলের ক্যাম্পে। 

সাফ অ-২০ টুর্নামেন্ট ১৮ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। জাতীয় দলের প্রীতি ম্যাচ ২২ ও ২৭ সেপ্টেম্বর। তাই সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠেছিল বাফুফের এই সংক্রান্ত নীতি নিয়ে। বাফুফে কর্মকর্তা ও সাফ অ-২০ দলের ম্যানেজার বিজন বড়ুয়া এটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন। 

খেলোয়াড়দের পাশাপাশি পলের বিষয়টিও ছিল আলোচনায়। সাফ অ-২০ ফুটবল দলে বাংলাদেশের কোচ ছিলেন ব্রিটিশ টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি। তিনি সাফ অ-১৭ দলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা যাওয়ায় অ-২০ দলে কোচের পরিবর্তন হয়েছে। 

এএফসি অ-২০ বাছাইয়ে বাংলাদেশের ম্যাচ
১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-বাহরাইন 
১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-ভুটান
১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-কাতার
১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-নেপাল

এজেড/এটি/এনইউ