কিংসের বিদেশিদের কাছেই হারল আবাহনী
ঘরোয়া ফুটবলে এখন সবচেয়ে আলোচিত ম্যাচ বসুন্ধরা কিংস ও ঢাকা আবাহনী। গত দুই মৌসুম শিরোপা লড়াইটা মূলত এই দুই দলের মধ্যেই। চলমান লিগে কিংসের জয়রথ ছুঁটছেই। আজ (রোববার) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে লিগ ম্যাচে অস্কার ব্রুজন শিষ্যরা ৪-১ গোলে ঢাকা আবাহনীকে হারিয়েছে। এই জয়ে ১২ ম্যাচ শেষে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে কিংস এককভাবে টেবিলের শীর্ষে। ১১ ম্যাচে ঢাকা আবাহনী ২২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে।
১০ মিনিটে ম্যাচে প্রথম কর্নার পায় কিংস। রবসন দ্য সিলবার কর্নারে বক্সের মধ্যে লাফিয়ে ওঠে খালেদ শাফিইয়ে যে হেড নেন তা বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ফেরান আবাহনী গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল। ১৪ মিনিটের সময় ডিফেন্ডারের ভুলে গোল হজম করতে যাচ্ছিল কিংস। আবাহনীর খেলোয়াড়ের বাড়ানো বল ধরতে পারেননি বিশ্বনাথ। বল পেয়ে যান ফ্রান্সিসকো। বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে তার নেওয়া শট কর্ণারের বিনিময়ে ফেরান ইয়াসিন খান।
১৭ মিনিটে রবসনের ডিফেন্স চেরা পাসে বল পেয়ে বিপলু আহমেদের শট সোহেলের পায়ে লেগে বাইরে চলে যায়। এক মিনিট বাদে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে রবসনের বাঁ পায়ের শট দূরের পোস্ট লেগে ফিরে আসে। জটলার মধ্যে বল পড়ে। ডান পায়ের আলতো টোকায় গোল করেও কিংসকে এগিয়ে নেন আর্জেন্টাইন রাউল অস্কার বেসেরা।
বিজ্ঞাপন
২৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পায় বসুন্ধরা। রবসনের কর্নারে আফগান খালেদ শাফেইয়ের ফ্লিকে আবাহনীর দুই খেলোয়াড়ের পায়ে লাগে। এরপর বল যখন জালের দিকে ঢুকছিল, গোলরক্ষক সোহেল ফেরাতে ব্যর্থ হন। বল তার হাতে লেগে ভেতরে প্রবেশ করে।
৪০ মিনিটে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হালকা ধাক্কাধাক্কি হয়। জুয়েল রানার সঙ্গে বল কড়াকাড়ি অবস্থায় সোহেল রানা দৌড়ে এসে রবসনকে ধাক্কা মারেন। রবসনও পা দিয়ে তাকে ফেলে দেন। এরপর ওঠে সোহেল রানা লাথি দিতে এগিয়ে যান রবসনকে।
রেফারির মধ্যস্থায় বড় কোনো ঝামেলা আর হয়নি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান কমানোর সুযোগ আসে আবাহনীর সামনে। রাফায়েলের সেট পিসে বেলফোর্টের হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। সামনে বল পান ফ্রাান্সিসকো। কিন্তু পোস্টের বাইরে দিয়ে বল মেরে সুযোগ নষ্ট করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
৫১ মিনিটে তৃতীয় গোল পায় বসুন্ধরা। রাউল অস্কার বেসেরার ডিফেন্স চেরা পাস ধরে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়া জোনাথন ঠান্ডা মাথায় গড়ানো শটে গোল করেন। ৬৪ মিনিটে আবাহনীর জুয়েল রানার সামনে ছিলেন শুধুই কিংস গোলরক্ষক জিকো। জুয়েল যখন শট করেন, দৌড়ে এসে তা ফেরান বিশ্বনাথ। ৭৬ মিনিটে মাহবুবর রহমানের সুফিলের ছোট থ্রোয়ে বল পান জোনাথন। ডান প্রান্ত থেকে তার ক্রসে দৌড়ে এসে হেডের মাধ্যমে বল জালে পাঠান রাউল অস্কার বেসেরা।
গোল হজমের পর একসঙ্গে তিন বদলি করে আবাহনী। ৮১ মিনিটে পেনাল্টি পায় তারা। বেলফোর্টকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন রিমন হোসেন। স্পট কিক থেকে এক গোল পরিশোধ করেন বেলফোর্ট। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে আবাহনীর বেলফোর্টের আরেকটি শট সাইড পোস্টে লেগে ফেরত আসে।
এজেড/এমএইচ/এটি