এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে আম্পায়ারিং করেছিলেন মাসুদুর রহমান মুকুল। সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে রেফারিং করার সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশের ফিফা রেফারি জয়া চাকমা ও সহকারি ফিফা রেফারি সালমা আক্তারের। সাবিনা খাতুনরা ফাইনালে ওঠায় তাদের আর ফাইনালে বাঁশি বাজানো হচ্ছে না। আগামীকালের ফ্লাইটে দু’জনই দেশে ফিরছেন। 

ফাইনালে বাঁশি ও পতাকা হাতে দাঁড়াতে পারছেন না এ নিয়ে দুঃখ নেই তাদের। সাবিনা-কৃষ্ণারা ফাইনালে উঠেছেন এতেই তারা খুশি, ‘আমরা খুবই খুশি বাংলাদেশে ফাইনালে উঠেছে। আমরা নেই এতে কোনো দুঃখ নেই।’ -কাঠমান্ডু থেকে বলছিলেন সহকারি ফিফা রেফারি সালমা আক্তার। 

জয়া চাকমা ফিফা রেফারির পরিচয়ে খানিকটা ঢাকা পড়ে গেছে তার সাবেক ফুটবলারের বিষয়টি। সাবেক এই জাতীয় ফুটবলারও অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ ফাইনালে উঠায়, ‘নিজের দেশ ফাইনালে খেলছে এটাই সবচেয়ে বড় খুশি। আমরা নেই এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই।’ -কাঠমান্ডু থেকে এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন জয়া। 

ফুটবল,ক্রিকেটে বহুজাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশি আম্পায়ারিং, রেফারিংয়ের ঘটনা হাতে গোনা। ২০১৩ সালে এই কাঠমান্ডুতেই তৈয়ব হাসান সাফ পুরুষ ফুটবলের ফাইনালে রেফারিং করেছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে মুকুল এশিয়া কাপের ফাইনালে আম্পায়ারিং করলেন। সালমা-জয়াদের সামনেও সেই সুযোগ ছিল। সাবিনারা ফাইনাল খেলায় সেটি আর হচ্ছে না। সালমাদের দৃষ্টি অবশ্য সাফের গন্ডি পেরিয়ে এশিয়ার বড় পরিসরে, ‘এর আগে আমরা সাফের জুনিয়র টুর্নামেন্ট করেছি। এখন সিনিয়র করলাম। সামনে এএফসির সিনিয়র টুর্নামেন্টে রেফারিং করতে চাই। এএফসির এলিটের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।’

সালমা গতকাল ভারত ও নেপালের ম্যাচে সহকারি রেফারি ছিলেন। অত্যন্ত চাপের ম্যাচ হলেও বেশ উপভোগই করেছেন নাকি সেমিফাইনালের দায়িত্ব,‘ম্যাচটি খুব টান টান উত্তেজনা ছিল। এমন ম্যাচে রেফারিংওটা উপভোগ্য হয়।’ সালমা এবার পাচ ম্যাচে সাইডলাইনে পতাকা নিয়ে দাড়িয়েছিলেন আর জয়া চারটি ম্যাচে বাঁশি বাজিয়েছেন। 

ফিফা রেফারি-সহকারি রেফারি হওয়ার পর এটাই তাদের প্রথম সিনিয়র নারী সাফ। এর আগে গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশে সাফ অ-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে তারা রেফারিং করেছেন। তবে সিনিয়র পর্যায়ে রেফারিংয়ের অভিজ্ঞতা ভিন্ন রকম বলে মনে করেন সালমা,‘ সিনিয়র নারী সাফে এবারই প্রথম আমরা রেফারিং করলাম। অনেক কিছুই শিখেছি এই সাফের মাধ্যমে।’ 

আগামী পরশু দিন দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের এক দিন আগেই কাঠমান্ডু ছাড়বেন জয়া ও সালমা। কাঠমান্ডু ছাড়লেও তাদের মন থাকবে সেই দশরথেই,‘ম্যাচটি মাঠে গিয়ে দেখতে পারলে ভালো লাগত অনেক। সাফের নিয়মানুযায়ী কালই নেপাল ছাড়তে হচ্ছে। সাবিনাদের জন্য শুভ কামনা থাকছে।’ -বলছিলেন সালমা। 

এজেড/এটি