১৯৯৯ সালে আলফাজ আহমেদের একমাত্র গোলে বাংলাদেশ সাফ গেমসের ফুটবলে স্বর্ণ জিতেছিল। ২৩ বছর পর সেই কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ নারী ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব জিতল। 

সাবিনাদের এই সাফ শিরোপা আলফাজকে ফিরিয়ে নিল সেই ’৯৯ তে। ‘আসলে অনেক ভালো লাগছে। মেয়েরা যখন গোল করছিল তখন মনে হচ্ছিল আমার সেই গোলের কথা’–বলছিলেন আলফাজ। 

বাংলাদেশের ফুটবলে অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার আলফাজ। নারী ফুটবলারদের গোলের দক্ষতা বেশ নজর কেড়েছে তাদের, ‘আমি মোহামেডানে নারী ফুটবলে কোচিং করিয়েছি এক মৌসুম। তখনকার চেয়ে এখন মেয়েদের স্কিল অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে বেশ ঠাণ্ডা মাথায় ফিনিশিং করছে নারী ফুটবলাররা। সব কিছু মিলিয়ে আমি মুগ্ধ।’ 

বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল সাফ পেরিয়ে এশিয়ান পর্যায়ে লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি, ‘আমরা দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয়েছি। এই নারীদের যোগ্যতা রয়েছে এশিয়ান পর্যায়ে ভালো কিছু করার। সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা নেয়া দরকার।’ 

২০০৩ সালে ঢাকায় বাংলাদেশ সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়। সেই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের শিরোপা এসেছিল টাইব্রেকারে জিতে। গোলরক্ষক আমিনুল হক সেই ম্যাচে একটি গুরুত্বপূর্ণ টাইব্রেকার সেভ করেছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও সেই সাফের অন্যতম নায়ক আমিনুলও আপ্লুত নারীদের এই পারফরম্যান্সে, ‘আসলে বাংলাদেশ অসাধারণ খেলছে। আমাদের মেয়োর আমাদেরকে গর্বিত করেছে। এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত।’ 

বাংলাদেশ সর্বশেষ দক্ষিণ এশিয়ার সেরা ছিল ২০০৩ সালে। প্রায় দুই দশক পর আবার বাংলাদেশের দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব এনে দিল মেয়েরা এজন্য বিশেষ ধন্যবাদ দিয়েছেন আমিনুল, ‘ছেলে-মেয়ে বিষয় নয়, বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়ন সেটাই বড় কথা।’

২০০৩ সালের পর বাংলাদেশের পুরুষ ফুটবল দল আর ফাইনাল খেলতে পারেননি। সেখান থেকে শিক্ষা নেয়ার পরামর্শ আমিনুলের, ‘স্বাধীনতা অর্জন করার চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। আমাদের নারীরা যেন নিয়মিত সাফে ফাইনাল খেলতে পারে এবং সাফের গণ্ডি পেরিয়ে আরো বেশি দূর যেতে পারে সেদিকে নজর দেয়া প্রয়োজন।’ 

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক এখন রাজনৈতিক কাজে অত্যন্ত ব্যস্ত। অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও সময় সুযোগ করে ফুটবল দেখার চেষ্টা করেন, ‘আসলে ফুটবল আমার রক্তে। যে কাজই করি না কেন, ফুটবলের খোঁজ রাখার চেষ্টা করি।’

এজেড/এনইউ