ম্যাচের তখন ৯০ মিনিট, স্কোরলাইন ১-১। তখন হঠাৎ করেই বাঁ প্রান্ত থেকে বাংলাদেশের তৃষ্ণার করা ক্রস নেপালের বিপানার হাতে লাগে। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। কিন্তু জয়নব বিবির নেওয়া পেনাল্টি শট নেপালের গোলরক্ষক সেভ করে ফেলেন। এই সেভই নেপালকে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন করেছে৷ নারীদের সাফে এটি নেপালের প্রথম শিরোপা। 

দুই মাস আগে সাবিনারা কাঠমান্ডুতে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আজ ঢাকায় কমলাপুরে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে নেপাল চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেই টুর্নামেন্টের প্রতিশোধই নিল। এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল জয়। সেই কাঙ্ক্ষিত জয়ের পরিবর্তে ১-১ গোলে ড্র হয় ম্যাচ। 

তিন দলের টুর্নামেন্টে চারটি করে ম্যাচ হয়েছে। চার ম্যাচ শেষে নেপাল সর্বোচ্চ ১০ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন। বাংলাদেশ ৭ পয়েন্ট নিয়ে রানার্স আপ। আজ বাংলাদেশ নেপালকে হারালে দুই দলেরই পয়েন্ট সমান ৯ হতো। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ গোল ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন হতো। 

বাংলাদেশ নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে হেরেছিল। সেই দিন বল পজেশনে এগিয়ে থেকেও হেরেছিল লাল-সবুজ মেয়েরা। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে দুই দলই সমানভাবে লড়েছে। নেপাল ১৪ মিনিটে গোল দিয়ে ম্যাচে লিড নেয়। সমিক্ষা মাগার ডিফেন্ডার অন্যন্যা মুর্মু বিথিকে কাটিয়ে বাই লাইনের একটু উপর থেকে কাট ব্যক বাড়ান। কানন রানী বাহাদুর তা ক্লিয়ার করতে গিয়ে তুলে দেন সুশিলার পায়ে। নেপালে এই ফরোয়ার্ডের দূরপাল্লার শট লাফিয়ে ওঠা গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জাল খুঁজে নেয়।

প্রথমার্ধেই সমতা আনার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। ৩৫ মিনিটে বাঁ দিকে দিকে সতীর্থের ক্রসে দূরের পোস্টে থাকা সুরভি আকন্দ প্রীতি লাফিয়ে উঠেও মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। এই অর্ধে নেপাল একটি গোললাইন সেভ করে।

৫৪ মিনিটে জয়নব বিবি রিতার কর্নার থেকে রুমা আক্তারের হেডে জালে বল জড়ায় বাংলাদেশ। পরের মিনিটে নুরসার জাহান নিতুর দারুণ পাস অফ সাইডের ফাঁদ শট নিতে ছুটেছিলেন সুরভি, কিন্তু দৌড়ে এসে ক্লিয়ার করেন সুজাতা তামাং। সুরভির সঙ্গে সংঘর্ষে ব্যথা পেয়ে মাঠে পড়েও থাকতে দেখা যায় নেপাল গোলরক্ষককে।  বাংলাদেশ ম্যাচের বাকি সময় গোলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়৷ 

এজেড/এনইআর