ছয় বছর প্রেমের পর সেই ভক্তকেই বিয়ে করলেন সোহেল
নববধূ সৈয়দা তামিলা সিরাজীর সঙ্গে সোহেল রানা
জাতীয় দল ও ঢাকা আবাহনীর অন্যতম মিডফিল্ডার সোহেল রানা আজ রোববার সৈয়দা তামিলা সিরাজীর সঙ্গে (অনামিকা) বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। লিগ ও জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচির জন্য বড় অনুষ্ঠান করতে পারেননি সোহেল। ধানমন্ডির একটি রেস্টুরেন্টে ঘরোয়া ও পারিবারিকভাবে ছোট্ট অনুষ্ঠান হয়েছে।
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ পাশ করা অনামিকাও একজন ফুটবলপ্রেমী। ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ দেখতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এসেছিলেন। সেদিন সোহেল রানার খেলায় মুগ্ধ হন। ভক্ত বনে যান। সেখান থেকে ভালো লাগা, প্রেম ও বিয়েতে আবদ্ধ হওয়া।
বিজ্ঞাপন
অনামিকা সোহেলের সঙ্গে পরিচয় ও সম্পর্কে এভাবে বলছিলেন, ‘আমি ফুটবল পছন্দ করি। খেলা দেখতে যাই ২০১৫ সালে। সোহেল দুর্দান্ত খেলে। ওর খেলা ভালোলাগার পর ফেসবুকে যোগাযোগ হয়। সেখান থেকে ঘনিষ্ঠতা এবং শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক বন্ধন। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
সম্পর্কে নানা টানাপোড়েন ও পারিবারিক সিদ্ধান্ত জড়িত থাকে। অনামিকা পরিবার থেকে পূর্ণ সহযোগিতাই পেয়েছেন বলে জানালেন, ‘আমাদের সম্পর্ক হওয়ার কিছু দিন পর পরিবার জেনেছে। পরিবার আমাকে সমর্থনই করেছে। আমরা দুই জনই দু’জনের কাজ সঠিকভাবে করেছি। ও ফুটবলেও মনোযোগী ছিল, আমি পড়াশোনায়। ফলে পরিবারের তেমন কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। আমাদের সম্পর্ক থাকলেও বিয়েটা এখন পারিবারিকভাবেই হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
গোলের খেলা ফুটবল। সোহেল রানা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে গোল রয়েছে সোহেলের। সোহেলের ম্যাচের দিন নিজের অবস্থা সম্পর্কে বলেন অনামিকা, ‘সোহেলের খেলার দিন আমি নফল নামাজ পড়ি। দোয়া করি সোহেল যেন ভালো খেলে, সোহেলের খেলা শেষ হলে পরে খোঁজ রাখি সোহেলের দল জিতল কিনা, বা সোহেল গোল করল কিনা। সোহেল গোল করলে দিনটি অন্যরকম কাটে।’
অনামিকা সোহেলের ওপরই ছেড়ে দিলেন নিজের পরবর্তী ক্যারিয়ার, ‘আমি উচ্চ শিক্ষিত ঠিক আছে। আমার পরিবার ও সোহেলের পছন্দ অনুযায়ী ক্যারিয়ার ঠিক করব। একজন জাতীয় ফুটবলারের স্ত্রী, এটাও গর্বের। সোহেলের সাথে আলোচনা করেই আমার পেশা ঠিক করব।’
আন্তর্জাতিক ফুটবলে স্বামীর খেলা দেখতে স্ত্রী, সন্তানরা মাঠে যান। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এমন চর্চা খুবই কম। অনামিকা সোহেলের খেলা দেখতে আসতে চান, ‘আমি মাঝে মধ্যে স্টেডিয়ামে (মূলত বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম) গিয়েছি। ফুটবল ম্যাচ দেখতে একজন ফুটবল প্রেমী হিসেবে, সোহেলের হবু স্ত্রী হিসেবে নয়। এখন সামনে ওর স্ত্রী হয়েই ফুটবল ম্যাচ দেখব (হাসি)।’
আবাহনী প্রথম লেগের খেলা শেষ করেছে। ক্লাব থেকে কিছু দিনের জন্য ছুটি পেয়েছেন ফুটবলাররা। সোহেলকে হয়তো দুই-তিনদিনের মধ্যে জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিতে হবে। পরবর্তীতে সুবিধাজনক এক সময়ে গায়ে হলুদ ও বিবাহত্তোর সংবর্ধনার আয়োজন করবেন সোহেল।
এজেড/এটি/টিআইএস