২০১০ ফুটবল বিশ্বকাপের পর বিশ্ব আসরে একটি ম্যাচও জেতেনি অস্ট্রেলিয়া। অবশেষে কাতার বিশ্বকাপে ভাঙল সেই ডেডলক। ডি গ্রুপের ম্যাচে শনিবার তিউনিশিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে ১২ বছর পর বিশ্বকাপ ম্যাচ জিতল গ্রাহাম আরনল্ডের শিষ্যরা। ঐতিহাসিক এই জয়ে অস্ট্রেলিয়ার নায়ক ছিলেন মিচেল ডিউক। সকারুসদের হয়ে ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি এসেছে তার পা থেকেই। 

আগের ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে লিড নিয়েও বিধ্বস্ত হতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। তাই তিউনিশিয়ার বিপক্ষে পুরোটা সময় আক্রমণের পাশাপাশি রক্ষণকেও বেশ গুরুত্ব দিয়েছে তারা। সকারুসদের পরিকল্পনা ছিল আগে গোল করে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলা। আর তাদের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মূল ভূমিকা রেখেছেন ডিউকই। 

ম্যাচের প্রথম বিশ মিনিটে বেশকিছু আক্রমণ করলেও ভালো ফিনিশিংয়ের অভাবে সেগুলোকে পূর্ণতা দিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ডেডলক ভাঙেন মিচেল ডিউক। ২৩তম মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে ক্রেইগ গুডউইনের ক্রস তিউনিসিয়ার এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে চলে আসে ডি-বক্সের দুই ডিফেন্ডারের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা মিচেল ডিউকের কাছে। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মাথা ছুঁয়ে বলকে জালের ঠিকানা দেখিয়ে দেন ডিউক।

এই গোলের পর ধীরে ধীরে রক্ষণাত্মক ফুটবলের দিকে ধাবিত হয় সকারুসরা। আর পরিকল্পনা অনুযায়ী সফলতাও এসেছে তাদের। তিউনিশিয়ার একের পর এক আক্রমণ সাফল্যের সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়ে ১২ বছর পর বিশ্বকাপ জয় তুলে নিল ওশেনিয়ার দলটি। 

আক্রমণভাগের মূল সৈনিক ডিউক আজ খেলেছেন মধ্যমাঠেও। বল দখলে মুন্সিয়ানা দেখিয়ে গোলমুখে শট নিয়েছেন ২ টি। পাস একুরেসিও ছিল চোখে পড়ার মতো। চাপের পজিশনে খেলেও ৫৬ শতাংশ পাস ঠিকঠাক দিয়েছেন। ডিউকের এই অসাধারণ পারফরম্যান্সই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ম্যাচে।