দাপুটে এক জয় নিয়ে, বিশ্বকাপের আর সব দলকে বড় একটা বার্তা দিয়ে পর্তুগাল চলে গেছে বিশ্বকাপের শেষ আটে। লুসাইল স্টেডিয়ামে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে পর্তুগালের ৬-১ গোলের এই জয়ের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে সব আলো একাই কেড়ে নিয়েছেন গনসালো রামোস। 

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ফর্মে নেই। তার ওপর কোচের সিদ্ধান্তে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন আগের ম্যাচে। সব মিলিয়ে কোচ ফার্নান্দো সান্তোস তাকে একাদশে রাখেননি সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে। তার পরিবর্তেই দলে জায়গা পান রামোস।

বেনফিকায় খেলা এই ফরোয়ার্ড কোচের আস্থার প্রতিদানও দিলেন ১৭, ৫১ ও ৬৭ মিনিটে গোল করে। চলতি বিশ্বকাপও পেয়ে গেল প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা। গড়ে ফেললেন রেকর্ডও। পেলের পর সব চেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপের নকআউট ম্যাচে একাই তিন গোল করার রেকর্ড করলেন একুশ বছর বয়সী রামোস। 

তবে তার এই হ্যাটট্রিকের পথটা যে ভালোই চেনা, তা জানা যায় তার অতীত ঘাটলে। গেল বছরের ১৬ নভেম্বর পর্তুগালের হয়ে অনূর্ধ্ব-২১ ইউরো বাছাইপর্বে সাইপ্রাসের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। চলতি বছরের ২ আগস্ট বেনফিকার হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ড্যানিশ ক্লাব মিজুল্যান্ডের বিপক্ষেও হ্যাটট্রিক করেছেন রামোস।

এছাড়াও পর্তুগিজ লিগে চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বেনফিকার হয়ে ১৪ গোল করেছেন, ৬ গোল করিয়েছেনও। সব মিলিয়ে দলটির হয়ে সিনিয়র পর্যায়ে ৪৫ ম্যাচ খেলে করেছেন ২০ গোল। 

এমন পারফর্ম্যান্সের পর পর বেনফিকার যুব একাডেমিতে বেড়ে ওঠা এই রামোসের ওপর চোখ পড়ে গেছে সারা বিশ্বের স্কাউটদের। ম্যান ইউ, চেলসি ও আর্সেনালের মতো ক্লাব রামোসকে নিতে ঝাঁপিয়েছে।

এনইউ