নির্ধারিত সময়ে গোল নেই, যোগ করা অতিরিক্ত সময়েরও অর্ধেক ছিল প্রায় শেষের পথে। ব্রাজিলের দুশ্চিন্তাটাও যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল। শেষমেশ নেইমারই ব্রাজিলকে সেই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলেন। ১০৪ মিনিটে এসে করলেন গোল, যাতে ভর করে শেষ চারের পথে ব্রাজিল।

এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ছিল পিনপতন নিরবতা। গ্যালারিতে উপস্থিত ৪৩ হাজার দর্শকের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্রাজিলের সমর্থক। গোল না পাওয়ায় ম্যাচ যখন টাইব্রেকারের অপেক্ষায়। সেই সময় নেইমারের গোলে জেগে উঠে এডুকেশন সিটি গ্যালারি। 

পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত ডিফেন্ডিং করা ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্সে ভাঙন ধরান নেইমার। বক্সের সামনে থেকে নেইমারের উদ্দেশ্যে বল ঠেলা হয়। সেই বল নেইমার দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একজন ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করেন। এতক্ষণ ব্রাজিলের সামনে প্রাচীর হয়ে দাড়ানো লিভাকোভিচ এসেছিলেন নেইমারকে রুখতে। নেইমার একটু ডানে সরে গিয়ে তাকেও পরাস্ত করে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠান। নেইমারের গোল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম, ‘ওলে ওলে ব্রাজিল ও ব্রাজিল’ গর্জন উঠে।

তিন মিনিট আগে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। বাম প্রান্ত দিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে ক্রোয়েশিয়ান ফরোয়ার্ড ব্রুনো পেতকোভিচ বক্সে প্রবেশ করেন। তিনি বাড়ান বক্সে ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা মার্সেলো ব্রজোভিচকে, তবে তিনি দারুণ এই সুযোগ থেকে গোল করতে পারেননি। মিনিট দুয়েক পর তারই মাসুল গোনে ক্রোয়েশিয়া।

এনইউ