ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হলেই গোটা বাংলাদেশ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। একপক্ষে ব্রাজিল, আরেকপক্ষে আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশের মানুষদের এমন লাতিন ফুটবলপ্রেমের খবরটা এখন গোটা বিশ্বের মানুষই জানে। সবচেয়ে বেশি জানে আর্জেন্টাইনরা। ফুটবল দিয়ে আর্জেন্টিনার সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধনের গল্পটা সমৃদ্ধ করতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশে আগামী বছর ফের দূতাবাস খোলতে পারে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার দূতাবাস বন্ধ করা হয়।

এমন খবরের পর এবার নতুন আরেক উদ্যোগ। লিওনেল মেসিকে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা চলছে। আর্জেন্টিনার গণমাধ্যমে এমন খবরই প্রকাশিত হয়েছে। অবশ্য মেসি এর আগেও এসেছেন বাংলাদেশে। ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে বাংলাদেশে আসেন এই ফুটবল জাদুকর। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলে তার দল। তারপর এখন তো কিংবদন্তি হয়ে উঠেছেন মেসি। 

এবারের বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে এসেছে মেসির দল আর্জেন্টিনা। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে রোববার শিরোপা লড়াইয়ে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে ১৯৮৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা। তার আগে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘ক্লারিন’ বলছে, ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুন্নেসা জানালেন, মেসিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার আগ্রহের কথা।

ব্রাজিলে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাদিয়া ফয়জুন্নেসা আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে ও চিলিতেও কূটনৈতিক দূতের দায়িত্ব পালন করছেন। আর্জেন্টিনার জাতীয় সংবাদ সংস্থা ‘তেলাম’-এর সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা মেসিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে চাই।’ 

যেখানে সাদিয়া ফয়জুন্নেসা জানান মেসিকে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করবেন। আর্জেন্টিনার আরেক গণমাধ্যম ‘ক্লারিন’-এ এসেছে রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য। তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমরা মেসিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার চেষ্টা করব। বাংলাদেশে আমরা একটি ম্যাচ আয়োজন করতে চাই। মেসি খুব জনপ্রিয়। আমরাও ফুটবলের জন্য আর্জেন্টাইনদের ভালোবাসি। তাই আমাদের দেশে তাকে পাওয়া হবে সম্মানের এক ব্যাপার।’

লাতিন ফুটবল বিশেষ করে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ভক্ত গোটা বাংলাদেশ জুড়ে। আর্জেন্টিনার ভক্ত বেড়েছে ডিয়েগো ম্যারাডোনার জাদুতেই। সাদিয়া ফয়জুন্নেসা বলেন, ‘১৯৮৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলকে নিয়ে বাংলাদেশে বেশি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তখনই কিংবদন্তিতে পরিণত হন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। আমার মনে আছে, বাংলাদেশের অনেক মানুষ তখন বিশ্বকাপ দেখেছে। বাংলাদেশের অনেক মানুষ আর্জেন্টিনার খেলা দেখেন। এখন বিভিন্ন শহরে বড় পর্দায় খেলা দেখানো হয়।’

সেই ভালবাসার প্রতিদান দিতে দিচ্ছে আর্জেন্টাইনরাও। তারাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেজ খুলে সমর্থন দিচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট দলকে। এমন কী আর্জেন্টিনার ফুটবল কোচও সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশি ফুটবল ভক্তদের।

এটি