জাতীয় দলেও গোল করতে চান মেহেদী
বাফুফে ভবনে কোচ জেমি ডে যখন দল ঘোষণা করছিলেন। তখন মেহেদী হাসান রয়েল মুক্তিযোদ্ধার হয়ে অনুশীলনে। সেখান থেকে ফিরে দেখেন মোবাইলে অনেক মিসড কল, মেসেজ। জাতীয় দলে প্রথমবারের মতো ডাক পাওয়ায় পরিবার, বন্ধু-বান্ধবদের শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছেন অনেক।
সিনিয়র ফুটবলারদের ইনজুরি, বসুন্ধরা কিংসে রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলাররা নিয়মিত খেলার সুযোগ পান না। এই দুই কারণ মিলিয়ে অনেকে এবার ডাক পেয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধার ফরোয়ার্ড মেহেদী রয়েল অবশ্য আত্নবিশ্বাসী ছিলেন, ‘কোচ এবার ভেন্যুতে ভেন্যুতে গিয়ে ম্যাচ দেখেছেন। এজন্য আমি আত্নবিশ্বাসী ছিলাম। ভালো পারফরম্যান্স করেছি এর ফলই হয়তো ডাক পড়েছে।’
আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা গোল করতে পারেন না। এই সমস্যা অনেক দিন থেকেই। জাতীয় দলে নতুন ডাক পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদরে ফরোয়ার্ড মেহেদী হাসান রয়েল একাদশে সুযোগ পেলে গোল করার আত্নবিশ্বাসী ব্যক্ত করেছেন, ‘জীবন ভাই জাতীয় দলের মূল স্ট্রাইকার। ইনজুরির জন্য তিনি নেই। একাদশে সুযোগ পেলে দেশের হয়ে গোল করতে চাই।’
বিজ্ঞাপন
নবীব নেওয়াজ জীবন না থাকলে ২৪ জনের স্কোয়াডে রয়েছেন কিংসের মতিন মিয়া, উত্তর বারিধারার সুমন রেজা। মতিনের জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞাত রয়েছে। অন্য দিকে সুমন রেজা উত্তর বারিধারার হয়ে চলতি মৌসুমে যথেষ্ট ধারাবাহিক ছিলেন। এই দু’জন পরীক্ষিত ফরোয়ার্ডকে ছাপিয়েও নিজেকে একাদশে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে চান রয়েল, ‘চূড়ান্ত স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছি। এবার অনুশীলনে নিজেকে উজাড় করে দেবো। কোচ যদি সুযোগ দেন, সেই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে চাই।’ প্রিমিয়ার লিগে মুক্তিযোদ্ধার হয়ে ১৩ ম্যাচের মধ্যে ১২টি ম্যাচ খেলেছেন রয়েল। এর মধ্যে তার গোল সংখ্যা দুইটি।
জাতীয় দলে ডাক পাওয়া নতুনদের মধ্যে রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারই আরেক মেহেদী। কুড়িগ্রামের এই ফুটবলার খেলেন ডিফেন্স পজিশনে। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে আবেগাপ্লুত মেহেদী, ‘কিছুক্ষণ আগেই জানলাম জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি। এখন পর্যন্ত ফুটবল ক্যারিয়ারের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত বলতে পারেন।’
বিজ্ঞাপন
এজেড/এমএইচ