আর্জেন্টিনার বাংলাদেশ সফর নিয়ে ক্রীড়াঙ্গন ও নাগরিক সমাজে চলছে নানা আলোচনা। শত কোটি টাকা ব্যয়ে আর্জেন্টিনাকে ঢাকায় ম্যাচ খেলানোর উদ্যোগ সম্পর্কে রয়েছে ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক উভয় প্রতিক্রিয়া। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল অবশ্য আজ গণমাধ্যমে আর্জেন্টিনা ইস্যুতে কথা বলেছেন। 

রমনাস্থ শেখ জামাল টেনিস কমপ্লেক্সে এটিএফ অ-১৪ টেনিস প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠান শেষে আর্জেন্টিনা ইস্যুতে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আমাকে বিষয়টি জানানো হয়নি। কিছু দিন আগে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান কমিটির সভায় সালাউদ্দিন সাহেব ( বাফুফে সভাপতি ) মৌখিকভাবে আমাকে বিষয়টি বলেছিলেন।’

এই প্রসঙ্গে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আর্জেন্টিনা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল। তাদের আনতে অনেক কিছু করতে হয়। বাংলাদেশে যে কোনো দল আনতে হলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আসতে হয়। আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করতে হয়। এখানে অ-১৪ টেনিস হচ্ছে। সেটাও মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এসেছে।’

আর্জেন্টিনাকে বাংলাদেশে এনে ম্যাচ খেলাতে প্রয়োজন পড়বে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। বাফুফেতে আর্থিক সংকট প্রকট। সেই প্রতিষ্ঠানের এত বড় অঙ্ক জোগাড় করে ম্যাচ আয়োজন করে ফুটবলের উন্নয়ন কতটুকু হয় খানিকটা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, ‘ফুটবল আর্থিক সংকটে ভুগছে। সেই হিসেবে ১০০ বা ২০০ কোটি টাকা। আমরা যেটাই বলি না কেন এখনো কনফার্ম না, শোনা কথা। ফুটবল ফেডারেশন অর্থের অভাবে চলতে পারছে না, সেখানে এত টাকা দিয়ে দল এনে ফুটবলের জন্য কতটুকু ভালো হবে সেটা আপনাদের মতো আমিও সন্দিহান।’

নেতিবাচকের পাশাপাশি ইতিবাচক দিকও দেখিয়েছেন মন্ত্রী, ‘সব কিছুরই দুই দিক থাকে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা বাংলাদেশে আসলে তরুণ সমাজ ফুটবলের প্রতি আকৃষ্ট হবে আরো। ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়বে।’

পজিটিভ-নেগেটিভ মিলিয়ে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আর্জেন্টিনা দল ঢাকায় আনার সিদ্ধান্ত ফুটবল ফেডারেশনের উপরই ছেড়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী, ‘সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে।’

এজেড