ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো/ফাইল ছবি

বছর তিনেক আগে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন জুভেন্তাসে। দলে যোগ দিয়ে জানিয়েছিলেন, জুভেন্তাসকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানোর ‘অসাধ্যটা’ সাধন করতেই এসেছেন তিনি। তিন বছর পেরিয়ে গেছে, সে কাজটা অসমাপ্তই রয়ে গেছে তার। পূরণ হওয়ার সম্ভাবনাও মিলিয়ে যাচ্ছে ক্রমে। ‘ব্যর্থতার’ জেরে যে তাকে পানির দামে ছাড়ছে জুভেন্তাস!

দাবিটা স্থানীয় ক্রীড়াদৈনিক করিয়েরে দেল্লো স্পোর্তের। পত্রিকাটি জানাচ্ছে, টানা তিন মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মুখ থুবড়ে পড়ার কারণে ক্লাবে বড়সড় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে আসছে মৌসুমে। রোনালদোকে ক্লাবছাড়া করা তারই একটা। করিয়েরে দেল্লো স্পোর্তের দাবি, ২৯ মিলিয়ন ইউরোর কোনো প্রস্তাব পেলেই জুভেন্তাস ফরোয়ার্ডকে ছাড়তে সম্মত হয়ে যাবে ক্লাবটি, যা তার বাজারমূল্যের প্রায় অর্ধেক! ২০১৮ সালে ১০০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে তাকে দলে ভিড়িয়েছিল জুভেন্তাস। 

তবে তার দলবদল থেকে প্রাপ্য অর্থের চেয়েও যে কারণটা তাকে ছাড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে জুভেন্তাসকে তা হলো তার বেতন। ফি মৌসুম তাকে ৩১ মিলিয়ন ইউরো দিতে হয় জুভেন্তাসকে, যা ক্লাবটির জন্য বয়ে আনে বাড়তি বোঝা। 

এত বড় বেতন দিয়েও তাকে রাখত ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা, যদি রোনালদোকে দলে টানার ‘লক্ষ্য’ পূরণ হতো। সেটাই তো হয়নি। রোনালদো যোগ দেওয়ার আগের চার মৌসুমে যেখানে দুটো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলেছিল দলটি, সেখানে তার আসার পর সেমিফাইনালেই উঠতে পারেনি জুভেন্তাস! এ কারণেই রোনালদোতে অর্থ লগ্নি করাকে খুব একটা লাভজনক মনে করছেন না ক্লাবটির কিছু পরিচালক।

জুভেন্তাসের সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ব্যর্থতার আগ থেকেই অবশ্য তাকে নিয়ে কানাঘুষা শুরু হয়ে গিয়েছিল দলটির সাবেকদের মধ্যে। অ্যান্তোনিও কাসানো বলেই বসেছিলেন, তাকে দলে ভিড়িয়ে ভুলই করেছে জুভেন্তাস। পোর্তোর কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার পর ক্লাবটির সাবেক সভাপতিও গলা মেলান কাসানোর সঙ্গে। করিয়েরে দেল্লো স্পোর্তের দাবি সত্য হলে, এবার তার সঙ্গে যোগ হলো জুভেন্তাস পরিচালকদের অসন্তোষও। 

জুভেন্তাস ছাড়লে কোথায় যেতে পারেন রোনালদো? এ প্রশ্নও উঠে আসছে ভালোভাবেই। স্প্যানিশ গণমাধ্যম এল চিরিঙ্গিতো জানাচ্ছে, রোনালদোর এজেন্ট হোর্হে মেন্দেস ইতোমধ্যেই কথা বলেছেন রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে। উদ্দেশ্য যে ছিল পর্তুগীজ অধিনায়কের মাদ্রিদ প্রত্যাবর্তনের, তা বলাই বাহুল্য।

এনইউ/এটি