দলের প্রধান তারকা করিম বেনজেমা, গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া ও ডিফেন্ডার এডার মিলিটাওয়ের ইনজুরি নিয়ে ভুগছিল রিয়াল মাদ্রিদ। চোটের কারণে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি লুকাস ভাজকেজ এবং ফারলাঁ মেন্দিও। কিন্তু সব ক্ষত ছাপিয়ে এই স্প্যানিশ জায়ান্ট খেলেছে দুর্দান্তভাবে। ৪-১ গোলের বড় জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেল কার্লো অ্যানচেলত্তির দল।

স্প্যানিশ জায়ান্টদের সামনে ক্লাব বিশ্বকাপের ৫ম শিরোপা জিততে আর মাত্র এক ধাপ বাকি। ম্যাচের শুরু থেকে সাজানো ফুটবলে ইনজুরির ক্ষত মনে করতেই দেয়নি টানা বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার ভিনিসিয়াস জুনিয়র। এদিন মিসরের ক্লাব আল আহলির বিপক্ষে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলেছে রিয়াল।

মরক্কোর রাবাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচের তিন মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো রিয়াল। ছোট পাসের সমন্বয়ে দ্রুতই ডি বক্সে ঢুকে পড়লেও ফিনিশিং দিতে পারেনি রিয়ালের ফরোয়ার্ডরা। রিয়ালের গতি ও পাসিং ফুটবলের সঙ্গে বেশ হাঁপিয়ে উঠছিল আল আহলি। কিন্তু নিজেদের পুরোপুরি গুটিয়ে রাখেনি দলটি। তারা রিয়ালের সামনে দুর্ভেদ্য দেয়াল তৈরি করে রেখেছিল।

বিরতিতে যাওয়ার মিনিট তিনেক আগে প্রথম লিড নেয় রিয়াল। বারবার ফাউল ও বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার ভিনিসিয়াস আহলি গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে আলতো ফ্লিকে বল জালে জড়ান। বিরতির পর নেমেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন উরুগুয়ের মিডফিল্ডার ভালভারদে। মদ্রিচের পাস ধরে বক্সে ঢুকে রদ্রিগোর নেওয়া শট শুরুতে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। এরপর ভালভারদে বল পেয়ে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন।

৬৫তম মিনিটে আলি মালউলের সফল স্পট-কিকে ব্যবধান কমায় আল আহলি। তাদের মিডফিল্ডার এল শাহাতকে রিয়ালের এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা বক্সে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় তারা। ৭৯তম মিনিটে আরেকটি গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল আল আহলি। কর্নারে তাহের মোহামেদের হেড ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন লুনিন।

নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে বক্সের ভেতর ফাউলের শিকার হন ভিনিসিয়াস। কিন্তু স্পট কিক নেওয়া মদ্রিচ সে যাত্রায় মিস করেন। ম্যাচের শেষদিকে দৃষ্টিনন্দন এক গোলে রিয়ালকে ৩-১ গোলে এগিয়ে নেন রদ্রিগো। শেষ মিনিটে ভিনিসিয়াসের বদলি নেমে আরেক গোল করেন সের্হিও আরিবাস।

আগামী ১১ ফেব্রুয়ারির ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ আল হিলাল। প্রথম সেমিফাইনালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লামেঙ্গোকে হারিয়ে সৌদি ক্লাবটি ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। 

এএইচএস