কেভিন ডি ব্রুইনার গোলেই বুধবার রাতে প্রথমে এগিয়ে যায় সিটি/ছবি: স্কাইস্পোর্টস

‘আক্রমণ আপনাকে ম্যাচ জেতায়, আর রক্ষণ জেতায় শিরোপা’ কথাটা নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন পেপ গার্দিওলা। তাহলে দশ বছর পর প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার স্বপ্নটাও ভালোভাবেই উঁকি দেবে ম্যানচেস্টার সিটি কোচের মনে। তবে সিটি শিরোপা জিতবে কিনা তা অনেক পরের আলোচনা। আপাতত বরুসিয়া মুনশেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে ২-০ গোলের দারুণ এক জয় নিয়ে ইতিহাস ছুঁয়েই শেষ আটে উঠে গেছে তার দল।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে টানা ম্যাচে গোল হজম না করার রেকর্ডটা দশ ম্যাচের। ২০০৬ সালে এ কীর্তিটা গড়েছিল আর্সেন ওয়েঙ্গারের আর্সেনাল। এরপর সাত ম্যাচ গোল হজম না করার কীর্তি এসি মিলানের। মঙ্গলবার রাতে মিলানকেই ছুঁয়েছে গার্দিওলার শিষ্যরা।

সিটির মাঠ এতিহাদে হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে ভেন্যু বদলে চলে যায় হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে। জার্মানিতে করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রথম লেগও হয়েছিল এখানে।

দুটো অ্যাওয়ে গোল নিয়ে এমনিতেই গার্দিওলার দল ছিল সুবিধাজনক অবস্থানে, এরপর ফিরতি লেগে ১২ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার গোল অবস্থান আরও পোক্ত করে তোলে দলটির। রিয়াদ মাহরেজের পাস প্রতিপক্ষ বিপদসীমার বাইরে পেয়ে জোরালো এক শট করে বসেন ব্রুইনা। ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে তা আছড়ে পড়ে জালে।

এর ছয় মিনিট পর মাঝমাঠ থেকে দারুণ ড্রিবলে বরুসিয়া বিপদসীমার কাছে চলে আসেন ফিল ফোডেন। সেখান থেকে বক্সে থাকা ইলকায় গুন্দোয়ানকে বল ছাড়েন তিনি। তারপর গুন্দোয়ানের দারুণ ফিনিশে দ্বিতীয় গোলের দেখাও পেয়ে যায় সিটি।

এরপর গোলের সুযোগ খুব একটা সৃষ্টি করতে পারেনি দলটি, তবে প্রতিপক্ষকেও আঁটসাঁট রক্ষণে বেধে রেখেছিল সিটি। ফলে ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে গার্দিওলার দল। 

দারুণ রক্ষণাত্মক নৈপুণ্যের কারণে মিলানের পাশে বসেছে সিটি, পাশাপাশি গড়েছে আরও কিছু রেকর্ডও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম আট ম্যাচে দলটি হজম করেছে একটি মাত্র গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ২০ বছরে এমন কীর্তি নেই আর কারো। সর্বশেষ কীর্তিটার বয়সও প্রায় ২৬ বছর। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে সর্বশেষ দল হিসেবে নিজেদের প্রথম আট ম্যাচে সর্বনিম্ন গোলের কীর্তি গড়েছিল আয়াক্স। এমন সব কীর্তির দিনে টানা চতুর্থবারের মতো ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার স্বাদ নেয় সিটি।

এনইউ/এটি