টানা দুটি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে শোচনীয় বিদায় নিতে হয়েছে জার্মানিকে। তাই হ্যান্সি ফ্লিকের দল নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে। ফেরার লড়াইটা জয়ে দিয়েই শুরু করল তারা। ইউরোপের অন্যান্য দেশ যেখানে ইউরো বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলছে, টুর্নামেন্টটির স্বাগতিক হওয়ায় জার্মানির সেই ঝামেলা নেই। ল্যাটিন আমেরিকান দেশ পেরুকে সহজেই হারিয়েছে তারা।

শনিবার (২৫ মার্চ) রাতে মেওয়া অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ শাণায় জার্মানি। অনেকগুলো ভালো সুযোগ তৈরি ও পেনাল্টি মিসের পরও নিকোলাস ফুলক্রুগের জোড়া গোলে তারা জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। একচেটিয়া খেলতে থাকা প্রতিপক্ষ পেরু উল্লেখযোগ্য কোনো আক্রমণ করতে পারেনি।

একগাদা পরিবর্তন নিয়ে ফ্লিক দল সাজিয়েছেন। নতুন করে ফেরার লড়াইয়ের শুরুটা তাই  কিছুটা অগোছালো মনে হয়। ১২তম মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করে জার্মানি। পেরু গোলরক্ষক পেদ্রো গালেসি ফুলক্রুগের হেড ঠেকিয়ে দেন। পরে ফিরতি বল পেয়েও কেউ শট নিতে পারেননি। কয়েক সেকেন্ড পরই ফের আক্রমণে জার্মানরা। মাঝমাঠ থেকে নিকো শ্লটারবেকের বল বুক দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নেন কাই হাভার্টজ। কিন্তু পেরু রক্ষণের বাধা পেয়ে বল এসে থামে ফুলক্রুগের পায়ে। সেখান থেকে জোরালো শটে তিনি বাভারিয়ানদের লিড এনে দেন।

১৯তম মিনিটে দুটি সুযোগ হাতছাড়া করে জার্মানি। দুটি বলই তারা পেরু গোলরক্ষকের হাতে মেরে দেয়। প্রথমে পেনাল্টি স্পট থেকে ফ্লোরিয়ান ভিরৎজ এবং তারপর টিমো ভার্নার শট নেন গালেসি বরাবর। তবে ৩৩তম মিনিটের আক্রমণে সফল ফ্লিকের শিষ্যরা। মারিয়ুস ভলফের চমৎকার ক্রসে অফসাইড ফাঁদ এড়িয়ে খুব কাছ থেকে জাল খুঁজে নেন ফুলক্রুগ। এর মাধ্যমে তিনি নিজের ও দলের স্কোর দ্বিগুণ করেন।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। কিছু চমৎকার আক্রমণ গড়লেও সেভাবে মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগানের পরীক্ষা নিতে পারেনি পেরু। ম্যাচে গোলের জন্য কোনো শট নিতে পারেনি লাতিন আমেরিকার দলটি। উল্টো প্রতি আক্রমণে তাদের সারাক্ষণ ব্যস্ত রাখে বাভারিয়ানরা।

৬০তম মিনিটে জার্মানি ব্যবধান আরও বাড়ানোর সুযোগ পায়। জসুয়া কিমিচের ক্রসে সার্জিও গ্যানাব্রির অ্যাক্রোবেটিক ভলি ব্যর্থ হয় ক্রসবার কাঁপিয়ে। আট মিনিট পর স্কোর লাইন ৩-০ করার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন হার্ভাটজ। তার স্পট কিক ফেরে পোস্ট লেগে। পরে আর কেউই গোলের দেখা পায়নি।

আগামী মঙ্গলবার আরেক প্রীতি ম্যাচে জার্মানি মুখোমুখি হবে বেলজিয়ামের।

এএইচএস