কাতার বিশ্বকাপে ফেভারিট হিসেবেই পা রেখেছিল স্পেন। কিন্তু মরক্কোর বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে আসরের শেষ ষোলো থেকে লুইস এনরিকের দল বিদায় নেয়। এরপরই বরখাস্ত হন এনরিকে। নতুন কোচ লুই ফুয়েন্তে’র অধীনে প্রথমবার মাঠে নেমেই জয় পেয়েছে স্প্যানিশরা। তবে এদিন জোড়া গোল করেছেন ৩২ বছর বয়সে অভিষেক হওয়া জোসেলু। তাও মাত্র মাঠে নামার চার মিনিটের ব্যবধানে। 

শনিবার (২৫ মার্চ) রাতে ইউরো বাছাইপর্বের ম্যাচে ঘরের মাঠে নরওয়েকে আতিথ্য দেয় স্পেন। তরুণ নির্ভর দল নিয়ে স্পেনের নতুন কোচের শুরুটা ভালোই হয়েছে। এদিন স্বাগতিকরা ৩-০ গোলে হারায় নরওয়েকে। জোসেলু ছাড়া বাকি গোলটি করেন দানি ওলমো। সফরকারীরা এদিন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা হলান্ডকে ছাড়াই মাঠে নামে। ইনজুরির কারণে মাঠে নামতে পারেননি চলতি মৌসুমে ইংলিশ লিগের এই সর্বোচ্চ গোলদাতা।

এদিন ম্যাচের ১৩তম মিনিটে প্রথম সুযোগেই এগিয়ে যায় স্পেন। নতুন অধিনায়ক আলভারো মোরাতা বক্সের বাইরে আলেজান্দ্রো বাল্দেকে খুঁজে নেন। বার্সেলোনার তরুণ এই ডিফেন্ডারের পাসে বক্সের বাইরে পা ছুঁয়ে শুধু বলের দিক পাল্টে দেন ওলমো। আর তাতেই প্রথম লিড পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। তবে মিনিট দুয়েক পরই সমতায় ফিরতে পারত নরওয়ে। তবে মার্টিন ওডেগোরের শট স্প্যানিশ ডিফেন্ডার নাচো ঠেকিয়ে দেন।

এরপর দু’দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে। ২৫ মিনিটে ওলমো ক্রস দূরে পোস্টে লাগে, মোরাতা আশপাশে থাকলেও তিনি বলের নাগালে ব্যর্থ হন। এর মিনিট চারেকের মাথায় স্পেন ও নরওয়ে দুটি আক্রমণ শাণায়। তবে শেষ পর্যন্ত আর গোলের দেখা পায়নি কেউই। ফলে ১-০ ব্যবধান নিয়ে দু’দল বিরতিতে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আবারও দাপট শুরু স্পেনের। দানি কারভাহালের ক্রস ইয়াগো আসপাস হেড দিয়ে গোলের দিকে মারেন। তবে তাতে তেমন জোর ছিল না। ৫৫ মিনিটে গোল প্রায় খেয়েই বসেছিল স্পেন। নাচোর গায়ে লেগে নিজেড়ের জালে বল জড়াতে যাচ্ছিল, কিন্তু দ্রুত ক্ষিপ্রতায় বিপদমুক্ত করে আরিসাবালাগা।

৭৬তম মিনিটে দানি সেবাইয়োসের থ্রু বল বক্সে পেয়ে বাইরে মারেন ইয়েরেমি পিনো। খানিক পর সতীর্থের ক্রস বক্সে ফাঁকায় পেয়ে বাইরে মেরে নরওয়ের হতাশা বাড়ান অ্যালেক্সান্ডার সরলথ। ম্যাচের ৮১তম মিনিটে মোরাতার বদলি নামেন জোসেলু। অভিষিক্ত এই ফরোয়ার্ড বাকি সময় নিজের দখলে নিয়ে নেন। চার মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে বড় জয়ে মাঠ ছাড়ে তার দল।

এএইচএস