প্রশংসার চেয়ে সমালোচনার শিকারই বেশি হচ্ছেন বিশ্বজয়ী আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। এর অন্যতম কারণ তার বুনো উদযাপন। বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল্ডেন গ্লাভস জেতার পর সেটি কোমরের সামনের অংশে ধরে মার্টিনেজ উচ্ছ্বাস করেন। এরপরই সমালোচনা তৈরি হয় ফিফার বর্ষসেরা গোলরক্ষকের খেতাব জেতা মার্টিনেজের। তবে আলবিসেলেস্তাদের প্রীতি ম্যাচ শেষে তার বিতর্কিত সেই উদযাপন করেন দলের অন্য সতীর্থরাও। এবার সেই দলে যোগ দিয়েছেন তাদের স্ত্রী-বান্ধবীরাও।

ম্যাচের দিন অবশ্য আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের উদযাপনের ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। সেই সময় তাদের সহধর্মিণীদের ছবি ছিল অপ্রকাশ্যে। তবে শনিবার (২৫ মার্চ) ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে সেই ছবি শেয়ার করেন গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলির বান্ধবী রোসিয়ো সুয়ারেজ।

তিনি ছবিটি ইনস্টাগ্রামে দিয়ে লেখেন, ‘ছেলেদের সাফল্য আমরাও ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করছি।’

জানা গেছে, শুরুটা করেন মার্টিনেজের স্ত্রী মান্ডিনহা। এরপর তাদের সঙ্গে যোগ দেন জেরোনিমো রুলির বান্ধবী রোসিয়ো সুয়ারেস, মার্কোস আকুনার বান্ধবী জুলিয়া সিলভা, জার্মান পেজেয়ার বান্ধবী অগাস্টিনা বাসকেরানো এবং গুইদো রদ্রিগেসের বান্ধবী ওয়াদা রামন। তবে সেই উচ্ছ্বাসে অংশ নিতে দেখা যায়নি মেসির বান্ধবীকে। অবশ্য মেসিও সতীর্থদের বিতর্কিত উদযাপনে ছিলেন না।

আরও পড়ুন : ‘বিতর্কিত সেই উদযাপন দলবেঁধে করলেন মার্টিনেজরা’

ছবিটি ছড়িয়ে পড়ার পর তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। আর্জেন্টিনার দর্শকরাও তা থেকে বাদ যাননি। সমর্থকদের অনেকেই ফুটবলার-সঙ্গীনিদের এই আচরণকে ‘রুচিহীন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বুয়েন্স আয়ার্সের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে পানামাকে ২-০ ব্যবধানে হারান মেসিরা। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে মেসি দারুণ এক ফ্রি-কিকে গোল করেন। যদিও এই জয় ভক্তদের কাছে ছিল গৌন। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আর্জেন্টিনা দলকে অভ্যর্থনা জানাতেই তারা ছুটে এসেছিলেন। ম্যাচ শেষে মার্টিনেজের অশ্লীল উদযাপনে যোগ দেন এরমান পেৎসেলা, গুইদো রদ্রিগেজ, জেরোনিমো রুলি ও মার্কাস আকুনা। 

এএইচএস