ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে স্কটল্যান্ডের অবস্থান খুব বেশি পেছনে নয়, ৪৬তম। তবে দারুণ সব ফুটবলারের মিশেলে গড়া স্পেন দলের সামনে তারা কিছুটা দূর্বলই বটে। কাতার বিশ্বকাপের ব্যর্থতা পেছনে ফেলে নতুন অভিযানে দারুণ শুরু করেছিল স্পেন। কিন্তু পরের ম্যাচেই সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ফের হোঁচট খেল। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে তারা স্কটল্যান্ডের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাতে গ্লাসগোর হ্যাম্পডেন পার্কে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নেমেছিল স্পেন। কিন্তু তুলনামূলক পিছিয়ে পড়াদের কাছে তারা বেশ কাঁপুনিই খেয়েছে। এর আগে ১৯৮৪ সালে সর্বশেষ স্প্যানিশদের হারিয়েছিল স্কটিশরা। সে বার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মুখোমুখি লড়াইয়ে ৩-১ গোলে হেরেছিল স্পেন। তিনবারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ১৫ বারের দেখায় এই নিয়ে চতুর্থ ম্যাচ জিতল স্কটল্যান্ড (স্পেনের জয় ৬টি, ড্র ৫টি)।

ম্যাচের ৭ মিনিটে নিজেদের ডি-বক্সের পাশে পিছলে পড়ে যান স্প্যানিশ ডিফেন্ডার পেদ্রো পোরো। সেই সুযোগে বল ধরে কাটব্যাক করেন অ্যান্ড্রু রবার্টসন। আর জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার ম্যাকটমিনে। এদিন দুটি গোলই করেছেন তিনি। প্রথমার্ধে এক গোলের পর ম্যাকটমিনে দ্বিতীয়ার্ধে নিজের ও দলের লিড দ্বিগুণ করেন।

ম্যাচের ২৩তম মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত স্পেন। আগের ম্যাচে অভিষেক হওয়া ৩৩ বছর বয়সী জোসেলু’র হেড ক্রসবারে বাধা পায়। নরওয়েকে হারানোর ম্যাচে তিনি মাত্র চার মিনিটে দুটি করে অভিষেক স্মরণীয় করে রাখেন। এই ম্যাচে জোসেলুর পর আরও একটি সুযোগ অল্পের জন্য হাতছাড়া করে স্পেন। রদ্রির হেডও চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।

তবে এরপরও গোলের জন্য তাদের মরিয়া চেষ্টা অব্যাহত ছিল। পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়াতে থাকে স্কটল্যান্ড। জমে ওঠে লড়াই। বিরতির আগের মিনিটে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে গোলরক্ষককে একা পান স্কটিশ ফরোয়ার্ড লিন্ডন ডাইকস। কিন্তু তার শটে বল ক্রসবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে একচেটিয়া চাপ ধরে রেখে ৫১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। বাঁ-দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠে বক্সের বাইরে শট নেন কিয়েরান টিয়েরনি। বল স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ডেভিড গার্সিয়ার গায়ে লেগে চলে যায় ম্যাকটমিনের পায়ে। প্রথম ছোঁয়ায় জোরালো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। এবারের বাছাইয়ে দুই ম্যাচে চার গোল করলেন ম্যাকটমিনে। এর আগে শনিবার সাইপ্রাসের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়েও তিনি দুবার জালে বল পাঠান।

বল দখলে পুরোটা সময়ই আধিপত্য করে স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধে ৭৫ শতাংশেরও বেশি সময় বল পায়ে ছিল তাদের; কিন্তু প্রতিপক্ষকে তেমন পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্তও তাই ৩৯ বছর পর স্কটিশদের বিপক্ষে হারের তেতো স্বাদ নিয়ে ফেরে ২০১০ সালের বিশ্বকাপ জয়ীরা।

এ নিয়ে দুই ম্যাচে এক জয়ে স্পেনের পয়েন্ট ৩। তবে তাদের ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে আছে স্কটল্যান্ড, সমান ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬।

এএইচএস