পুরো মৌসুমজুড়ে ভালো খেললেও, শেষ পর্যন্ত বুন্দেসলিগা শিরোপা হাতছাড়া করেছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার একদম নিকটে গিয়েও, তাদের ট্রফি পাওয়া হলো না। একরাশ বিষাদ উপহার দিয়ে ডর্টমুন্ডের উৎসব ছিনিয়ে নিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। দলের এমন করুণ সময়েও নিজগুণে রঙিন হয়েছেন তরুণ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম। ১৯ বছর বয়সী এই ইংলিশ ফুটবলার বুন্দেসলিগায় ২০২২-২৩ মৌসুমে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন।

ইতোমধ্যে ডর্টমুন্ডকে বিদায় বলে দিয়েছেন তরুণ বেলিংহাম। আগামী মৌসুমে তাকে বার্নাব্যুর দল রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতে দেখা যাবে। কথাবার্তাও প্রায় পাকিপাকি করে রেখেছে দু’পক্ষ। অবশ্য জার্মান ক্লাব বরুশিয়ার জন্য এটি নতুন কিছু নয়। তরুণ ফুটবলার তোলার পেছনে তাদের জুড়ি নেই। রবার্ট লেভান্ডফস্কি, আর্লিং হলান্ড ও উসমান ডেম্বেলেসহ আরও অসংখ্য খেলোয়াড়ের আতুড়ঘর ডর্টমুন্ড।

বুন্দেসলিগায় সদ্য সমাপ্ত আসরে বেলিংহাম সবমিলিয়ে ৩১ ম্যাচ খেলেছেন। তার মূল ভূমিকা স্ট্রাইকারদের বল জোগান দেওয়া এবং গোলের সুযোগ তৈরি করা হলেও, মৌসুমে ৮টি গোল করেছিলেন তিনি। ডর্টমুন্ডের হয়ে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের সঙ্গে তিনি লিগ সর্বোচ্চ ৪৮২টি ডুয়েল জিতেছেন। একইসঙ্গে ক্লাব সতীর্থদের চেয়েও সবচেয়ে বেশি মাঠজুড়ে খেলেছেন বেলিংহাম। পুরো মৌসুম তিনি ৩২২ কিলোমিটার দূরত্ব পার করেছেন।

তরুণ এই ইংলিশ মিডফিল্ডারকে মৌসুম সেরার ঘোষণায় বুন্দেসলিগা ওয়েবসাইটে লেখা হয়, ‘মহা গুরুত্বপূর্ণ শেষ ম্যাচে বেলিংহামের অনুপস্থিতি অনুভব করেছে তার দল।’ মূলত  হাঁটুর চোটে ডাগআউটে বসে দলের স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়েছেন বেলিংহাম। তাই তো ম্যাচ শেষেও বাধভাঙা কান্না লুকিয়ে রাখতে পারেননি তিনি।

বুন্দেসলিগায় আগের মৌসুমগুলোতে বায়ার্ন মিউনিখ একক দাপট দেখালেও, এবার ডর্টমুন্ড তাদের চোখ রাঙানি দিয়েছে। মৌসুমের শেষ ম্যাচের আগে বায়ার্নের চেয়ে দুই পয়েন্টে এগিয়ে ছিল দলটি। কিন্তু শেষ ম্যাচটি ড্র করায় তারা ‘লিড’ ধরে রাখতে পারেনি। একইদিন বায়ার্ন কোলনকে হারিয়ে টানা ১১তম বুন্দেসলিগা জিতে নেয়। 

এএইচএস