অনেকদিন ধরে শোনা যাচ্ছে পিএসজি ছেড়ে আগামী মৌসুমে ভিন্ন ক্লাবে দেখা যাবে ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমার জুনিয়রকে। কিন্তু ক্লাব সতীর্থ লিওনেল মেসি ও সার্জিও রামোসরা বিদায় জানালেও, নেইমার এ বিষয়ে চুপ। কয়েকটি ইংলিশ ক্লাব তাকে দলে নিতে আগ্রহ দেখালেও ওসব বিষয়েও তিনি এখন পর্যন্ত কিছু বলেননি। এর ভেতর অনেকটা অবাক করে দিয়ে বার্সেলোনায় না গিয়ে ইন্টার মায়ামিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন মেসি। এরপরই গুঞ্জন ওঠে নেইমারের বার্সায় যাওয়া নিয়ে। তবে এ প্রসঙ্গ উঠতেই অবাক হয়েছেন ক্লাবটির কোচ জাভি হার্নান্দেজ।

মূলত নেইমার ও বার্সেলোনাকে নিয়ে হুট করে আলোচনা তুলেছিল স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্ত’। তারা জানিয়েছে, নেইমার নিজ থেকেই বার্সায় ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। মেসি মায়ামিতে যাওয়ার পর এ কথা জানিয়েছেন তিনি। এজন্য নেইমার প্রয়োজনে নিজের বর্তমান বেতন কমাতেও রাজি।

মূলত আর্জেন্টাইন তারকা মেসিকে ফেরানোর পুরোপুরি লড়াইয়ে নেমেছিল কাতালান ক্লাবটি। কিন্তু বার্সেলোনা লা লিগাকে তার ফেরার ব্যাপারে রাজি করালেও, মেসির চুক্তির বিষয়ে পরিপূর্ণ নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। সে কারণে মুখিয়ে থাকলেও, তারা এই মহাতারকাকে দলে ভেড়াতে ব্যর্থ হয়েছে। যা এলোমেলো করে দিয়েছে বার্সেলোনার পরিকল্পনা। মেসির কথা ভেবেই দল সাজানো শুরু করেছিলেন কোচ জাভি। ফলে নেইমারই সেই জায়গায় যুক্ত হতে পারেন বলে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছিল।

আরও পড়ুন >> চাইলে ব্রাজিলের ক্লাবেও নেইমারকে ফেরাতে পারেন রাফায়েলা

কিন্তু এই খবর পুরোপুরি অবাক করেছে জাভিকে, ‘আমি নেইমারের এই খবরে বেশ অবাক হয়েছি। সে কখনোই আমাদের পরিকল্পনায় ছিল না। সে বন্ধু হিসেবে খুব ভালো। এর আগে আমরা একত্রে খেলেছিও। কিন্তু আমাদের ভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে।’

পিএসজিতে অনেকদিন ধরেই সময়টা খারাপ যাচ্ছে নেইমারের। কিলিয়ান এমবাপে ও নেইমারের সঙ্গে তার রসায়নটা প্যারিসে মোটেও জমেনি। কিছুদিন আগে, পিএসজির কিছু উগ্র সমর্থকেরা তার বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেছে, এমনকি ‘নেইমার, গেট আউট’ স্লোগানও দিয়েছিল। ব্রাজিলিয়ান তারকা প্রকাশ্যে কিছু না বললেও এটা মোটামুটি নিশ্চিত, তিনি প্যারিস ছাড়তে চান।

আরও পড়ুন >> মেসির বিদায়ে যা বললেন নেইমার

এর আগে ২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকেই ২২২ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফিতে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন নেইমার। ব্যাপারটি ঘটেছিল হঠাৎ করেই। বার্সেলোনায় মেসি আর লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে দারুণ এক ত্রিভুজ আক্রমণভাগ গড়েছিলেন নেইমার। মেসি-সুয়ারেজ-নেইমার ত্রয়ীকে সে সময় ‘এমএসএন’ তকমা দেওয়া হয়েছিল।

এএইচএস