ট্রফি নিয়ে দুই দলের অধিনায়ক

হোলি উৎসবে রঙিন কাঠমান্ডু। সেই উৎসবের ছোঁয়া লেগেছে ফুটবলেও। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে চলমান ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালের ট্রফি নিয়ে দুই দলের অধিনায়ক ও কোচের ফটোসেশন। 

জামাল ভূঁইয়া না কিরণ লিম্বু কার হাতে উঠবে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি এজন্য আগামীকাল (সোমবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। ২০২১ সালের ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট বাংলাদেশের জন্য নেপালে তৃতীয় বারের মতো কোনো ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল। তৃতীয় যাত্রায় জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গী হবে কি ১৯৮৪ দুঃখ স্মৃতির নাকি '৯৯র সুখ স্মৃতি?

নেপালের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম ফাইনালটি অবশ্য ১৯৮৪ সালের প্রথম সাফে। সেই গেমসে কাজী সালাউদ্দিন, আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু, ওয়াসিম ইকবালের নেপালের দশরথে বাংলাদেশ হেরেছিল ৪-২ গোলে। '৯৯ সাফ গেমসে অবশ্য জুয়েল রানা-আলফাজরা আগের প্রজন্মের দুঃখ লোপ করতে পেরেছিলেন। আলফাজের একমাত্র গোলে বাংলাদেশ সেই গেমসে ফুটবলের স্বর্ণ জিতেছিলেন। 

নেপাল বর্তমান দলের কোচ বাল গোপাল মহারজন ছিলেন সেই ম্যাচের খেলোয়াড়। ২২ বছর পর আবার নিজেদের মাঠে ফাইনালে বাংলাদেশকে পেয়েছেন। ফুটবলার হিসেবে সেবার ব্যর্থ হলেও এবার কোচ হিসেবে সফল হতে চান বাল গোপাল, ‘আমার দল ফাইনালের জন্য প্রস্তুত । আশা করি আমরা ভালো খেলেই জিতব।’

বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার জন্ম অবশ্য '৮৪র পরে। ডেনমার্কেই বেড়ে উঠেছেন তাই দেশের ফুটবল ইতিহাস-ঐতিহ্য তাকে খুব বেশি না টানলেও ট্রফি জিতেই দেশে ফেরার প্রত্যয় তার, ‘আমরা ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরতে চাই। আমাদের সেই সামর্থ্য রয়েছে।’

ডেনমার্ক থেকে এসে বাংলাদেশে খেলছেন। নিজের যোগ্যতা দিয়ে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্ট জিতলে বাংলাদেশের ফুটবলে ভিন্ন উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত হবেন। জামাল অবশ্য সেভাবে ভাবছেন না, ‘এই টুর্নামেন্ট জিতলেও আমার ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন হবে না। সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়া প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত আমার জন্য স্মরণীয় দিন জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ম্যাচ।’ 

আগামীকালের খেলা:


ত্রিদেশীয় আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট
নেপাল বনাম বাংলাদেশ
বিকেল পৌনে ছয়টা  
দশরথ স্টেডিয়াম
সরাসরি সম্প্রচার টি-স্পোর্টস

এজেড/এমএইচ/এটি