৩৬ দিন পর ছোটনের পদত্যাগ গ্রহণ
গত ২৮ মে বাফুফেতে পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাফুফে সাবিনাদের কোচের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করল ৩৬ দিন পর। আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাফুফে ছোটনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে।
বাফুফের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলির সঙ্গে কিছু বিষয়ে ছোটনের টানাপড়েন ছিল। যদিও ছোটন বাফুফেকে দেওয়া পদত্যাগপত্রে বিশ্রাম ও পরিবারকে সময় দেওয়ার বিষয় উল্লেখ করেছিলেন। পদত্যাগপত্র পাওয়ার পর বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ কয়েকবার ছোটনকে কাজে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ছোটন তার অবস্থানেই অনড় ছিলেন। এক মাসের বেশি সময় ছোটনকে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে অনেকটা বাধ্যই হয়েছে বাফুফে।
বিজ্ঞাপন
সাবেক ফুটবলার ছোটন ২০০৬ সালে প্রশিক্ষক হিসেবে বাফুফেতে যোগদান করেন। ২০০৯ সাল থেকে জাতীয় ও বয়স ভিত্তিক নারী দল নিয়ে ছোটনের কাজের শুরু। ছোটনের অধীনে ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ বয়স ভিত্তিক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাফল্য পেতে শুরু করে। গত বছর নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সাবিনারা তার কোচিংয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়নের নয় মাস পর সাবিনারা আগামী সপ্তাহে আবার ম্যাচ খেলতে নামবেন। ১৩ ও ১৬ জুলাই কমলাপুর স্টেডিয়ামে সাবিনারা নেপালের বিপক্ষে দু’টি প্রীতি ম্যাচ রয়েছে বাংলাদেশের। ছোটনের পরিবর্তে ডাগআউটে দাঁড়াবেন কে এই বিষয়ে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন,‘২-৩ দিন পর এই বিষয়ে বলতে পারব। কোচ নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
বিজ্ঞাপন
সাবিনাদের প্রধান কোচ ছোটন হলেও ২০১৬ সালের পর থেকে মূলত নিয়ন্ত্রণ করেছেন ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলি। তিনি ছুটিয়ে কাটিয়ে আগামীকাল ফিরবেন। তিনি ফিরলেও সাবিনাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ছোটনের সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটুর অধীনেই এই দুই ম্যাচের দায়িত্ব পড়তে পারে।
এজেড/এফআই