ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর দুশ্চিন্তার নতুন নাম সৌদি আরবের ফুটবল লিগ। একের পর এক তারকা ফুটবলারদের সাইনিংয়ে তাদের ক্লাবগুলোর স্কোয়াড ভারী করে তুলছে। একইসঙ্গে ওলট-পালট করে দিচ্ছে ইউরোপীয় ফুটবলের বাজার। যা নিয়ে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন ফুটবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি উদ্বেগ জানিয়েছেন। এবার সেই দলে নাম লেখালেন লিভারপুলের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপও। তিনি সৌদি ক্লাবগুলোর দলবদলের লাগাম টানার জন্য ফিফা ও উয়েফার প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পথ ধরে সৌদি ক্লাবগুলোতে একে একে যুক্ত হচ্ছেন তারকা ফুটবলাররা। কেবল লিভারপুল থেকেই চলতি দলবদলে রবার্তো ফিরমিনো, জর্ডান হেন্ডারসন ও ফ্যাবিনহো দেশটির লিগে যোগ দিয়েছেন। তবে এখানেই শেষ নয়, সৌদিতে দলবদলের বাজার চালু থাকবে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর এখানেই ক্লপের আপত্তি। কারণ ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোতে গ্রীষ্মের দলবদলের উইন্ডো বন্ধ হয়ে যাবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর।

আরও পড়ুন >> সৌদি আরবকে নিয়ে সতর্ক হতে বললেন গার্দিওলা

বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে লিভারপুলের প্রীতি ম্যাচের আগে এ নিয়ে নিজের ক্ষোভ দেখিয়েছেন ক্লপ, ‘এই মুহূর্তে এটা বিশাল ব্যাপার। আমি মনে করি সবচেয়ে খারাপ বিষয় হলো যে, সৌদি আরবে দলবদলের উইন্ডো তিন সপ্তাহ বেশি খোলা থাকবে। আমি যা শুনেছি, তা যদি ঠিক হয়ে থাকে তাহলে অন্তত ইউরোপের জন্য এটি সহায়ক নয়। উয়েফা বা ফিফাকে অবশ্যই এর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। তবে এই মুহূর্তে আমার ঠিক জানা নেই যে শেষ পর্যন্ত কী হবে।’

এদিকে ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে রিয়াদ মাহরেজও নাম লিখিয়েছেন সৌদি ক্লাব আল আহলিতে। এভাবে বড় বড় ফুটবলারদের টেনে নেওয়ার বিষয়টিকে ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর জন্য চিন্তার কারণ বলে মনে করেন সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা, ‘ভবিষ্যতে আরও সেরা মানের খেলোয়াড় সেখানে যাবে। এজন্য ক্লাবগুলোর সতর্ক হওয়া দরকার যে কী ঘটতে চলেছে। রিয়াদ (মাহরেজ) অবিশ্বাস্য প্রস্তাব পেয়েছে। এ কারণে আমরা ওকে “যেয়ো না” বলতে পারিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে হুমকি বড় কথা নয়, ব্যাপারটা হচ্ছে বাস্তবতা। ওরা (সৌদি আরব) শক্তিশালী একটা লিগ তৈরি করতে চাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যে লিগ করেছে, সেটা তারা পারবেও। প্রিমিয়ার লিগ অন্যদের তুলনায় বেশি খরচ করতে পারে। কারণ, এর সম্প্রচার এবং পৃষ্ঠপোষকদের থেকে আয় বেশি। এখন সৌদি লিগ, আমি জানি না, এটা কত দিন টিকে থাকবে। তবে মনে হচ্ছে টিকে থাকবে।’

এএইচএস