অনুশীলনে আবাহনী দল/আবাহনী

১৪ এপ্রিল এএফসি কাপের ম্যাচ আয়োজনে প্রথমে আগ্রহী ছিল না ঢাকা আবাহনী। দেশে চলমান লকডাউন ও সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বাফুফের মাধ্যমে এএফসিকে লিখিত অনুরোধ দিয়েছিল আবাহনী। এএফসি অবশ্য ১৪ এপ্রিল ঢাকাতেই এই ম্যাচ আয়োজনের কথা ফেডারেশন ও আবাহনীকে জানিয়েছে। 

ঢাকা আবাহনীর ম্যানেজার ও বাফুফে নির্বাহী সদস্য সত্যজিত দাশ রুপু ম্যাচ আয়োজন প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা ১৪ এপ্রিলের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এখন। এএফসি ওই দিনই ম্যাচ আয়োজনের কথা বলছে।’ দেশে চলমান এক সপ্তাহের কঠোর নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে ১১ এপ্রিল। ম্যাচের ২ দিন আগে মাত্র। এছাড়া বিদেশ থেকে আসা দলের ভিসা, কোয়ারেন্টিন সহ অনেক বিষয় জড়িত। এই ব্যাপারে রুপু বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে আমরা কোয়ারেন্টিন নিয়ে আলোচনা করছি। ১৪ এপ্রিল ম্যাচ নিয়ে আগেই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে। দেশের সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমতি দিলে ম্যাচ আয়োজন করব।’

১৪ এপ্রিল ঢাকা আবাহনীর প্রতিপক্ষ মালদ্বীপের ক্লাব ঈগলস। ঢাকা আবাহনীর পতুর্গীজ কোচ ম্যারিও ল্যামোস অবশ্য ১৪ এপ্রিলের জন্য প্রস্তুত, ‘আমি ১৬-১৭ দিন দলকে অনুশীলন করিয়েছি। ১৪ এপ্রিল খেলার জন্য প্রস্তুত।’ আগে এএফসি কাপের প্লে অফ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে হতো। এখন করোনার জন্য এক ম্যাচের প্লে অফ হচ্ছে। ঢাকা আবাহনী মালদ্বীপের ঈগলসকে হারাতে পারলে ২১ এপ্রিল ভারত যেতে হবে পরের প্লে অফ খেলতে। ২১ এপ্রিলের প্লে অফ বিজয়ী দল ১৪ মে মালেতে মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। 

মালদ্বীপের ক্লাব ঈগলস ভুটানের থিম্পু এফসিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে। ঈগলস সম্পর্কে ম্যারিওর পর্যবেক্ষণ, ‘তারা ভালো দল। গোলরক্ষক ও উইংয়ে ভালো মানের বিদেশি রয়েছে। এরপরও আশা করি আমরা জিতব।’ গত বছর আবাহনী মালদ্বীপের মাজিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে গোলের হিসাবে প্লে অফ থেকে ছিটকে গেছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস গত বারের মতো এবারও এএফসি কাপের মূল পর্বে খেলছে। 

এজেড/এটি/এনইউ