২০২২ সালের অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপে খেলা ৪ ফুটবলার এবার সাফ টুর্নামেন্ট খেলছেন ৷ আজ বাংলাদেশের বিপক্ষেও ছিলেন তারা। বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলারদের হারানো বাংলাদেশের ফুটবলে বিশেষ এক কীর্তি।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ভারতের বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলারদের প্রসঙ্গ এসেছে। বাংলাদেশ নারী দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু এ প্রসঙ্গে বলেন, 'ভারতকে হারানো অবশ্যই বিশেষ কিছু। সেটা ফুটবল, ক্রিকেটসহ অনেক খেলাতেই। ভারত অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ (স্বাগতিক)  খেলেছে, তাদের দল অবশ্যই ভালো। এমন দলের বিপক্ষে জেতা অবশ্যই দারুণ বিষয়।'

ফুটবল, ক্রিকেটসহ অনেক খেলায় ভারত 'জুজু' ভর করে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ওপর। আজকের ম্যাচেও ব্যতিক্রম ছিল না। 'খেলা শুরুর আগে খেলোয়াড়দের বলেছি, 'অনেকে অনেক কিছু বলবে, আমার প্রতি বিশ্বাস রাখো তোমরা ভারতকে হারাতে পারো', বলেন বাংলাদেশ দলের কোচ। 

কমলাপুর স্টেডিয়ামে ম্যাচটি বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপুর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশ ম্যাচটি ইনজুরি সময়ের গোলে জিতেছে। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের কোচ বলেন, 'অবশ্যই ম্যাচটি দারুণ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত জিততে পারায় আমরা খুশি।' ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় পরবর্তী ম্যাচে খেলোয়াড়দের বিশ্রামে রাখার ইঙ্গিতও দিয়েছেন। 

বল পজিশন-আক্রমণে ভারত কোনো অংশে পিছিয়ে ছিল না। গোলের খেলা ফুটবলে ভারত গোল না পাওয়ায় ম্যাচে পয়েন্ট পায়নি। এই ব্যর্থতার দায় কোচ শুক্লা দত্ত ফরোয়ার্ডদের উপর দিতে চান না, 'গোল হয়নি এটা টিমের ব্যর্থতা। ফরোয়ার্ডের শুধু নয়।'

সাগরিকার গোলে বাংলাদেশের ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে। সেই গোল নিয়ে প্রতিপক্ষ কোচ বলেন, 'বাইরে থেকে আমি বুঝছিলাম বল ডিপ (পড়ে নিচু হওয়া) করতে পারে৷ আমি চিতকার করে বলছিলামও, ব্যান্ড ও অন্য শব্দে হয়তো শুনতে পারিনি।'

এজেড/এইচজেএস