ছবি: সংগৃহীত

বয়স ৩৬ ছুঁইছুঁই হলেও জুভেন্তাস তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো থামার কোনো ভাবনাই মাথায় আনছেন না। সম্প্রতি বিবিসি স্পোর্টসকে এক সাক্ষাতকারে জানালেন, আরও অনেক বছর খেলে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী।

পাঁচ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলার আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পালন করবেন নিজের ৩৬তম জন্মদিন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান খেলোয়াড়দের ভেতর সর্বোচ্চ শিরোপা জিতেছেন তিনি, কিছুদিন আগেই করেছেন ৭৫০তম গোল, অপেক্ষায় আছেন আলী দায়ীকে টপকে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক গোলের কীর্তিটা নিজেদের করে নেয়ারও। এমন সব কীর্তির ফলে সর্বকালের সেরার আলোচনায় তার নাম আসে বেশ ভালোভাবেই। 

সম্প্রতি বিবিসি স্পোর্টসকে তিনি জানান, এখানেই থামার ইচ্ছে নেই তার। বললেন, ‘বয়সটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, মানসিকতাটাই জরুরি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ভালো কিনা সেটাও ব্যাপার নয়। আপনি জানেন না ভবিষ্যত আপনার জন্যে কী নিয়ে অপেক্ষা করছে। আমি বর্তমান নিয়ে বাঁচি।’

‘আর বর্তমানে আমি ভালো আছি, সুখী অনুভব করছি। পারফর্ম্যান্সে তীক্ষ্ণতা অনুভব করছি, জীবন নিয়েও বেশ ভালো একটা মুহূর্ত কাটাচ্ছি। আমি আশা করব আরও অনেক দিন খেলব আমি, কিন্তু ভবিষ্যতে কী হবে তা আপনি মোটেও জানেন না। আমার চোখ সে ভবিষ্যতকে বেশ, বেশ উজ্জ্বল দেখছে। আর তাই তা নিয়েই খুশি আছি আমি।’

আগামী বছর অনুষ্ঠেয় ইউরোয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। যেখানে দলটা যাবে ২০১২ সালের পর প্রথম দল হিসেবে শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে। রোনালদো আরও জানান, ২০২২ সালে পর্তুগালের স্বপ্নীল বিশ্বকাপ জয়টাও বেশ সম্ভব। যদিও এখন পর্যন্ত দলটা পেরোতে পারেনি সেমিফাইনালের গণ্ডিই।

করোনাকালে ফুটবল মাঠে গড়ালেও দর্শকরা ফিরে পারছেন না গ্যালারিতে। রোনালদো জানালেন, ফাঁকা গ্যালারির সামনে খেলার প্রভাব পড়েছে তার পারফর্ম্যান্সেও। বললেন, ‘দর্শকহীন স্টেডিয়ামে খেলাটা পছন্দ করি না আমি। এটা সার্কাসে গিয়ে ক্লাউন না দেখার মতো ব্যাপার। মহামারিটা মানুষজনকে পাগল করে দিয়েছে।’

‘আমি আশা করব শিগগিরই স্টেডিয়ামের দুয়ার খুলবে। সেটা নিয়েই বাঁচতে হবে আমাদের, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে হবে আমাদের, তবে নিয়মকেও সম্মান জানাতে হবে আমাদের। কিন্তু দর্শকদের ছাড়া খেলাটা আমি মোটেও পছন্দ করি না আমি।’

এনইউ