ফেডারেশন কাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালটা চট্টগ্রাম আবাহনী ও শেখ রাসেলের মধ্যকার হলেও লড়াইটা ছিল দেশের অন্যতম সেরা দুই কোচ সাইফুল বারী টিটু ও মারুফল হকেরও। সেই লড়াইয়ে জিতেছেন মারুফুল হক। তার দল চট্টগ্রাম আবাহনী ২-০ গোলে শেখ রাসেলকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠেছে। 

নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র ছিল। সব রঙ লুকিয়ে রেখেছিলেন অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের শেষ ১৫ মিনিটের জন্য। অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচটি নিজেদের করে নেয় চট্টগ্রাম আবাহনী। ১০৭ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় তারা। 

সতীর্থের কাছ থেকে বক্সের মধ্যে বল পান রাকিব হোসেন। ঠান্ডা মাথায় বাঁ পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না শেখ রাসেলের গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানার। 

মিনিট সাতেক পর দ্বিতীয় গোলের আনন্দে মেতে ওঠে চট্টলার ক্লাবটি। মাঝমাঠ থেকে চার্লস দিদিয়েরের বাড়ানো বল খুজে নেন মান্নাফ রাব্বিকে। বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়া রাব্বি দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে গোল করে উচ্ছ্বাসে মাতিয়ে তোলেন দলকে। ম্যাচের ফলাফল অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় তখন। 

তবে ম্যাচের অন্তিম সময়ে মেজাজ হারিয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর কাউসার আলী রাব্বির মুখে ঘুষি মারেন তকলিস। তাকে লাল কার্ড দেখাতে দেরি করনেনি রেফারি আনিসুর রহমান সাগর। ফলে লিগের প্রথম ম্যাচে খেলতে পারবেন না তকলিস।

নির্ধারিত সময়ে সুযোগ পেয়েছিল দু’দলই। ১৭ মিনিটে গোল করার দারুণ একটি সুযোগ আসে চট্টগাম আবাহনীর। নিজেদের অর্ধে থেকে আইভরিকোস্টের মিডফিল্ডার চার্লস দিদিয়ের লং পাস খুজে নেয় মান্নাফ রাব্বিকে। দ্রুতগতিতে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়ে শট নিলে তা শেখ রাসেল গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার পায়ে লেগে বাইরে চলে যায়। 

পরপর দুটি কর্ণার আদায় করে রাসেলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে মারুফুল হকের দল। মিনিট নয়েক পর ফের আক্ষেপে পুড়ে বন্দরনগরীর দলটি। মান্নাফ রাব্বির মাইনাসে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে দিদিয়েরের নেয়া ডান পায়ের প্লেসিং শট পোস্টের খুব কাছ দিয়ে বাইরে চলে যায়। 

তবে পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পারায় অলব্লুজদের হতাশ করেন করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড লোপেজ রদ্রিগেজ। ৬৭ মিনিটে বক্সের মধ্যে বল নিয়ে ঢুকে পড়া রাসেলের নাইজেরিযান মিডফিল্ডার ওবি মোনেকেকে অবৈধভাবে বাধা দেন চট্টগ্রাম আবাহনীর উজবেকিস্তান ডিফেন্ডার পুলাতোভ শুকুর আলী। 

রেফারি আনিসুর রহমান পেনাল্টির বাঁশি বাজান। কিন্তু পেনাল্টিতে লোপেজের শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক মো. নাঈম। দু’দলই গোলের দেখা না পাওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানেই বাজিমাত চট্টগ্রাম আবাহনীর। 

এজেড/ এমএইচ