জয়ে শুরু সাদা-কালোদের
আরামবাগ মানেই প্রতিপক্ষের সহজ জয়। তারাই একমাত্র দল যারা প্রথম পর্বে ১২ ম্যাচ খেলে একটিতেও জিততে পারেনি। একমাত্র সাফল্য ছিল উত্তর বারিধারার বিপক্ষে ৪-৪ গোলে ড্র। তাই স্বাভাবিকভাবেই ১৩ দলের প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে আরামবাগ। শনিবার সেই দলের প্রতিপক্ষ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ২-১ গোলে জিতেছে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ৯ মিনিটে এগিয়ে যায় মোহামেডান। হাবিবুর রহমান সোহাগের ফ্রি কিক থেকে খুব সহজেই বল জালে জড়ান মালির ফরোয়ার্ড সুলেমান দিয়াবাতে। তাকে মার্ক করার কোন চেষ্টাই করেননি আরামবাগের ডিফেন্ডার রাসেল মুন্সি।
বিজ্ঞাপন
২০ মিনিটে আবারও যেন আগের ফ্রি কিকের পুনরাবৃত্তি। অনেকটা একই জায়গা থেকে আবার ফ্রি কিক নিয়েছিলেন হাবিবুর রহমান সোহাগ। উড়ে আসা বলে মাথা ছুঁয়েছিলেন মোহামডোনের জাপানি অধিনায়ক উরু নাগাতা। কিন্তু অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রস্ট হয় ওই শট। ২৩ মিনিটে আরেকটি গোলের সুযোগ এসেছিল মোহামেডোনের। কিন্তু ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি। সাদা কালোদের ১-০ গোলের লিডে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
বিরতি থেকে ফিরেই ম্যাচে সমতা পায় আরামবাগ আত্মঘাতি গোলে। আনাড়ি ফুটবলারদের মতো কাণ্ড করে বসেন মোহামেডানের হাবিবুর রহমান সোহাগ। অন্য মনস্কতার চরম উদাহরণ দেখিয়েছেন এই ফুটবলার। তবে ৫০ মিনিটে আবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল মোহামেডানে।
বিজ্ঞাপন
ফ্রি কিক থেকে শট নিয়েছিলেন সুলেমান দিয়াবাতে। তাতে প্রস্তুত ছিলেন আরামবাগের গোলকিপার উমর ফারুক। ৫৭ মিনিটে সুযোগ এসেছিল আরামবাগের। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি ইসলোমজন। ম্যাচের শেষ দিকে ৮৮ মিনিটে গোলের সুযোগ এসেছিল মোহামডোনেরও।
কিন্তু জালের ঠিকানা আর খুঁজে পায়নি তারা। অবশেষে মোহামেডান সফল হয় ম্যাচের ইনজুরি টাইমে। গোলদাতা সেই সুলেমান দিয়াবাতে। আর এই গোলই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করে মোহামেডানের জয় নিশ্চিত করেন সুলেমান দিয়াবাতে। শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে মোহামেডান।
এজেড/এটি/এমএইচ