জয়সূচক গোলের পর আলনসো/গার্ডিয়ান

‘ভাগ্যিস ম্যাচটা লিগেরই ছিল’-কথাটা ভাবতেই পারেন ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। দুই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালিস্টের দেখা হলো লিগে, সে ম্যাচটায় শেষ দিকের গোলে হারার পর এমন ভাবনা না আসাটাই বরং বেশি আশ্চর্যের। সেই ‘পোশাকি মহড়ায়’ থমাস টুখেলের চেলসির কাছে ২-১ গোলের এই হার লিগ নিশ্চিত করার অপেক্ষাটাও বাড়িয়ে দিয়েছে সিটির।  

আগামী ২৯ মে তুরস্কের ইস্তানবুলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার কথা দুই দলের। তার আগেই মুখোমুখি দুই দল, যেখানে সিটির জন্য ছিল শিরোপা নিশ্চিতের হাতছানিও। এমন এক ম্যাচে ফাইনালের ছাপ দেখাটাই স্বাভাবিক। 

তবে তাতে এদিন পানি ঢালেন গার্দিওলা। প্রথম একাদশে এদিন ৯টা পরিবর্তন আনেন তিনি। তবে স্প্যানিশ কোচকে চিনে থাকলে বিষয়টাকে চোখ সওয়াই মনে হওয়ার কথা যে কারো।

এরপর সিটি যেমন খেলেছে, তাও বেশ পরিচিতই। বলের দখলে এগিয়ে থেকেও অবশ্য গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি গার্দিওলার শিষ্যরা। বরং প্রতি আক্রমণে চেলসিই ত্রাস ছড়িয়েছে সিটি শিবিরে, ৩২ মিনিটে টিমো ভেরনারের কল্যাণে একবার লক্ষ্যভেদ করলেও অফসাইডে কাটা পড়ে তা। 

এর মিনিট তিনেক পর ম্যাচে প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষ গোলমুখে শট নেয় সিটি। প্রথম গোলের অপেক্ষাও খুব একটা করতে হয়নি দলটিকে। ৪৪ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের ক্রস সার্জিও আগুয়েরো প্রথমবার নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি, সুযোগে রাহিম স্টার্লিংই শট করে গোল এনে দেন লিগের শীর্ষে থাকা দলটিকে।

বিরতির আগে আবারও সুযোগ সিটির সামনে। জেসুস ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি যায় দলটির পক্ষে। শট নিতে আসা আগুয়েরোর ‘পানেনকা’ চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সিটি। 

চেলসি সমতায় ফেরে ৬৩তম মিনিটে। চেজার অ্যাজপিলিকুয়েতার পাসে মরক্কান মিডফিল্ডার হেকিম জিয়েখের নিচু শট জড়ায় সিটির জালে। ম্যাচের অন্তিম সময়ে ভেরনারের পাস থেকে গোল করে চেলসির জয় নিশ্চিত করেন মার্কোস আলনসো।

এর আগে অবশ্য ৭৯ আর ৮১ মিনিটে দু’বার লক্ষ্যভেদ করেছিল চেলসি, সেগুলোও অফসাইডে কাটা পরে। তবে তাতে কী, জয়টা তো পাওয়া হয়েই গেছে চেলসির!

এর ফলে ৩৫ ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে এসেছে ব্লুজরা। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে সিটির অপেক্ষা বাড়ল অন্তত এক দিনের জন্য। আজ ইউনাইটেড হারলেই অবশ্য লিগ নিশ্চিত হয়ে যাবে দলটির। সমান ম্যাচ থেকে রেড ডেভিলদের সংগ্রহ ৬৭ পয়েন্ট।

এনইউ