কার্যত ঠিক হয়ে গেছে এবার লা লিগার ট্রফিখানা যাচ্ছে মাদ্রিদ শহরে। তবে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ নাকি রিয়াদ মাদ্রিদের শো-কেসে উঠবে এই ট্রফি, সেটি নির্ধারণ হবে ২২ মে রাতে। লিগ জয়ের দৌড়ে শেষপর্যন্ত চার দল থাকলেও রোববার (১৬ মে) রাতে বার্সেলোনা আর সেভিয়া হারায় শিরোপার লড়াই এখন দুই মাদ্রিদের। কিন্তু শেষ রাউন্ডে কোচ জিনেদিন জিদানের দলকে শুধু জিতলেই চলবে না, একই সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে দিয়েগো সিমেওনের দলের হারের দিকে।

লিগে শেষ রাউন্ডের আগে ৩৭ ম্যাচে ২৫ জয়, ৮ ড্র এবং ৪ হারে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি শীর্ষে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। সমান ম্যাচে ২৪ জয়, ৯ ড্র আর ৪ হারে টেবিলের দুই নম্বরে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সংগ্রহ ৮১ পয়েন্ট।

রোববার রাতে ঘরের মাঠে ওসাসুনার বিপক্ষে ম্যাচের ৮১ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে ছিল অ্যাটলেটিকো। পরে ৬ মিনিটের জাদুতে লোদি এবং লুইস সুয়ারেজের গোলে ওসাসুনার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানের জয় তুলে নেয় তারা। এই জয়ে শিরোপা জয়ের আরও কাছে পৌঁছে গেছে মাদ্রিদের ক্লাবটি। ​লিগ শিরোপা জয় থেকে এক পা দূরে অবস্থান অ্যাটলেটিকোর।

ম্যাচে একের পর এক সুযোগ তৈরি করেও কিছুতেই গোলের দেখা পাচ্ছিল না সিমিওনের দল। যদিও দুবার বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে সেগুলো বাতিল হয়। প্রথমার্ধে গোল পায়নি ওসাসুনাও। বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের বয়স যখন ৭৫ মিনিট, তখন আন্তে বুদিমিরের ক্ষীপ্র গতির হেডে লিড নেয় ওসাসুনা। ৭ মিনিট পরেই অবশ্য জাও ফেলিক্সের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান রেনান লোদি। ৮৮ মিনিটে গোল করে দলকে জয় এনে দেন লুইস সুয়ারেজ। ২-১ গোলের জয় তুলে মাঠ ছাড়ে অ্যাটলেটিকো।

একই সময়ে শিরোপার দৌড়ে টিকে থাকতে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মুখোমুখি হয় রিয়াল। শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না তাদের। ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থেকে প্রতিপক্ষের গোলবারের দিকে আক্রমণ সাজাতে থাকে রিয়াল, তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা। কোনও দল স্কোর করতে না পারায় প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যতে।

ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে ক্যাসেমিরোর বাড়ান বল পেয়ে জালে জড়ান নাচো ফার্নান্দেজ। এগিয়ে যায় রিয়াল। ম্যাচের বাকি সময় আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দুই দলের কেউই। এতে ১-০ গোলের ব্যবধানে জিতে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে টিকে থাকল রিয়াল মাদ্রিদ।

টিআইএস