শচীন টেন্ডুলকার ও বিরাট কোহলি/ফাইল ছবি

বিশ্বক্রিকেটে নিজের নাম প্রতিনিয়ত নতুন করে লেখাচ্ছেন বিরাট কোহলি। দারুণ সব পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়ে, গাদাগাদা রেকর্ড ভেঙে-গড়ে নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন নতুন উচ্চতায়। হয়তো অচিরেই ছুঁয়ে ফেলবেন শচীন টেন্ডুলকারের গড়া শত সেঞ্চুরির রেকর্ডও। সেই কোহলির অভিষেকটা হয়েছিল কেমন? জানিয়েছেন শচীন নিজে।

২০০৮ সালে বিরাট কোহলির অভিষেক যখন হচ্ছে, ততদিনে ক্যারিয়ারের ১৮টা বসন্ত পার করে ফেলেছেন শচীন টেন্ডুলকার। দেশে তো তখন রীতিমতো ঈশ্বর-জ্ঞান করা হতো তাকে। বিশ্বক্রিকেটেও ঢুকে গিয়েছিলেন সর্বকালের সেরাদের ছোট্ট তালিকায়। সেই টেন্ডুলকারকে দেখছেন চর্মচক্ষে, তাও আবার নিজ ড্রেসিংরুমে, অভিষেকের ঠিক আগে। এমন পরিস্থিতিতে আবেগে গলে যাওয়াটা খুব সম্ভব। দেশীয় সংস্কৃতি মেনে কোহলি সেদিন রীতিমতো ছুঁয়ে ফেলেছিলেন শচীনের পা! 

ঘটনার আকস্মিকতায় কিছুটা চমকেই গিয়েছিলেন শচীন। কোহলিকে মানা তো করেছিলেনই, জিজ্ঞেসও করেছিলেন এর কারণ কী। সদুত্তর পাননি যদিও। তবে বহু বছর পর জেনেছেন, কাজের পেছনে কাজ করেছে দলের তিন সিনিয়র যুবরাজ, ইরফান পাঠান ও মুনাফ পাটেলের রসিকতা।

তিনজন মিলে কোহলিকে বুঝিয়েছিলেন, দলে ঢুকলেই শচীনের পা ছোঁয়াটা ভারতীয় দলের রেওয়াজ। তা বিনাবাক্যে মেনে নিয়েই এ কাণ্ড করেছিলেন কোহলি। সেদিনের স্মৃতি হাতড়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শচীন বলেন, ‘আমি বুঝতেই পারিনি, হচ্ছেটা কী! বারবার বিরাটকে জিজ্ঞেস করছিলাম, করেছ কী তুমি! এর কী দরকার, ড্রেসিং রুমে এমন কিছু করবে কেন? উঠে দাঁড়িয়েই দেখি পেছনে তিনজন হেসেই খুন হয়ে যাচ্ছিল!’

শচীন এরপর জানালেন, এ ঘটনার হোতাদের বিষয়ে জেনেছেন এই কিছুদিন আগে। বিরাট কোহলিরই আরেকটা সাক্ষাৎকারে। তবে যাই হোক, সেদিন শচীনের পা ছুঁয়ে যে ভারতের ভবিষ্যৎ ব্যাটিং কাণ্ডারি হওয়ার ব্যাটনটাও হাতে তুলে নিয়েছিলেন কোহলি, তা বলাই বাহুল্য।

এনইউ/এটি