বেলের গোলখরা চলছেই/গোল ডট কম

শুরুটা ভাল হলো না গ্যারেথ বেলের ওয়েলসের। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে দলটি। 

গেলবারের সেমিফাইনালিস্ট ছিল ওয়েলস। কিন্তু সে ইতিহাসের ছিটেফোঁটাও এবারের ইউরোর শুরুর ম্যাচে দেখাতে পারেনি দলটি। শুরু থেকেই ছিল কোণঠাসা। প্রথম থেকেই আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে সুইজারল্যান্ড। বলের দখল, প্রতিপক্ষ গোলমুখে শটসহ সব দিক থেকেই ওয়েলশম্যানদের চেয়ে এগিয়ে ছিল সুইসরা। তবু প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি দলটি। বিরতির পর গোলের দেখা পেলেও সেটা ধরে রাখতে পারেনি কোচ ভ্লাদিমির পেতকোভিচের শিষ্যরা। মূল্যবান একটি পয়েন্ট আদায় করে নেয় ওয়েলস।

ইতিহাস অবশ্য কথা বলছিল সুইসদের পক্ষেই। আগের চার দেখায় তিন জয় ছিল সুইজারল্যান্ডের, একটিতে জয়ের মুখ দেখেছিল ওয়েলস।

শুরু থেকেই ওয়েলসকে বেশ চাপেই রেখেছিল সুইজারল্যান্ড। কিন্তু গোলের দেখা আর পাচ্ছিল না তারা, ব্যর্থ ছিল আক্রমনভাগ। অথচ গেল সপ্তাহেই তারা লিখটেনস্টেইনকে হারিয়েছিল ৭-০ গোলে! এই ব্যর্থতার ফলে প্রথমার্ধ শেষে ৭৩ শতাংশ বলের দখলের বিপরীতে একটি মাত্র লক্ষ্যে শট ছিল তাদের।

সুইসদের সে আক্ষেপ শেষ হয় বিরতির একটু পর। শাকিরির কর্নার থেকে ৪৯ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন এমবোলো। এর আগ পর্যন্ত জবুথবু ওয়েলস এরপরই ফেরে ম্যাচে। যার ফলটা পায় ৭৪ মিনিটে। জো মোরেলের ক্রস থেকে গোল করেন কেইফার মুর।

শেষ দশ মিনিট ছড়িয়েছে দারুণ রোমাঞ্চ। ৮৩ মিনিটে ডেভিড ব্রুকসের নিচু ক্রসে পা-ই ছোঁয়াতে পারেননি অ্যারন র‍্যামসে, পেরে গেলে হয়তো গল্পটা ভিন্নও হতে পারত। এর মিনিট দুই পর সুইস উল্লাস। মারিও গ্যাভ্রানোভিচ জালে পাঠান বল। কিন্তু তাতে বাঁধ সাধে ভিএআর, সেখানে দেখা যায় বল রিসিভের আগে অফসাইডে ছিলেন মারিও, ফলে পেতে পেতেও গোলের দেখা আর পায়নি দুই দলের কেউই।

এই ড্রয়ের ফলে এ গ্রুপের শীর্ষে এককভাবেই রইল আগের রাতে জিতে ৩ পয়েন্ট পাওয়া ইতালি। এরপরই ১টি করে পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান ওয়েলস আর সুইজারল্যান্ডের। পয়েন্টের খাতা না খোলা তুরস্ক আছে টেবিলের তলানিতে। নিজেদের পরের ম্যাচে এই তুর্কিদেরই মুখোমুখি হবে ওয়েলস, আর সুইজারল্যান্ড আতিথ্য নেবে ইতালির।

এনইউ