তিন দিনের ভারত সফরে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। কলকাতা হয়ে হায়দরাবাদ, মুম্বাই ও দিল্লি ঘুরে ফিরে গেছেন তিনি। কিন্তু সফরের শুরুতে কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বিশৃঙ্খলার কারণে জিওএটি ইন্ডিয়া ট্যুরে কালিমা পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী নেতিবাচক কারণে বিশ্ব গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। মেসিকে দেখতে না পেয়ে দর্শকরা স্টেডিয়ামে ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলা করার জন্য আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে ভারতের ক্রিকেট কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার তার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ককে। মেসির ভূমিকা ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

স্পোর্টস্টার-এ লেখা নিজের কলামে গাভাস্কার স্পষ্ট ভাষায় প্রশ্ন তুলেছেন- চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় মাঠে থাকার কথা থাকলেও মেসি কেন আগেই স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে গেলেন? গাভাস্কারের দাবি, মেসির উপস্থিতি দুই ঘণ্টার জন্য নির্ধারিত হলেও অনেক আগেই মাঠ ছাড়েন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা। ফলে হাজার হাজার টাকা খরচ করেও হতাশ হতে হয়েছে দর্শকদের ৷

গাভাস্কার ক্ষোভ নিয়ে লিখেছেন, ‘কলকাতার ঘটনায় সবাইকে দায়ী করা হয়েছে, অথচ যিনি নিজের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি, তার দিকে আঙুল ওঠেনি। চুক্তির শর্ত প্রকাশ্যে নেই ঠিকই, কিন্তু যদি নির্দিষ্ট সময় মাঠে থাকার কথা থাকে, আর তিনি তার আগেই চলে যান, তাহলে দায় স্বয়ং তার ও তার টিমেরও।’

গাভাস্কার মনে করেন, মেসি বা তার সঙ্গীদের কোনো নিরাপত্তা হুমকি ছিল না। রাজনৈতিক নেতা বা তথাকথিত ভিআইপিদের ঘিরে থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। তার প্রশ্ন- ‘মেসির কাছে কি খুব বেশি কিছু চাওয়া হয়েছিল? স্টেডিয়ামের চারদিকে একবার হাঁটা, বা অন্তত একটা পেনাল্টি নেওয়া? সেটুকু হলেই আশপাশের লোকজন আপনাতেই সরে যেত, আর দর্শকরা তাদের নায়ককে দেখতে পেত।’

তিনি কলামে লিখেছেন, ‘মেসি মাত্র ৩০ মিনিটেরও কম সময় স্টেডিয়ামে ছিলেন। ভিআইপিদের ভিড় বা বিশৃঙ্খলার কথা বলা হলেও, সেখানে মেসির নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি ছিল না। দর্শকরা প্রচুর টাকা খরচ করে তাদের প্রিয় তারকাকে দেখতে এসেছিলেন। মেসি যদি কথা মতো এক ঘণ্টা থাকতেন কিংবা দর্শকদের জন্য অন্তত একটি পেনাল্টি কিক নিতেন, তবে পরিবেশ অন্যরকম হতে পারত।’

মেসিকে দোষারোপ করলেন তিনি, ‘মেসি নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই মাঠ ছাড়ায় দর্শকরা হতাশ হন, যার ফলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।’

এফএইচএম/