গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও খেলতে আসেনি কাঁচিঝুলি স্পোর্টিং ক্লাব। এ নিয়ে তাদের টানা তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। নারী ফুটবলে এমন ঘটনা ঘটেনি আগে। 

কাঁচিঝুলি ক্লাবের কোচ মুকুল প্রথম ম্যাচ সম্পর্কে জানান, ‘বাফুফে বলেছে আমরা করোনা রিপোর্ট জমা দেইনি বিষয়টি সে রকম নয়। ২০ জুন ম্যাচের আগে আমরা করোনা রিপোর্ট জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু সেটার মেয়াদ ২১ দিনের বেশি ছিল। এজন্য তারা গ্রহণ করেনি।’ 

দ্বিতীয় দিনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘২৪ জুন বঙ্গমাতার ময়মনসিংহ বিভাগের খেলা ছিল। কাঁচিঝুলি দলটাই সেখানে খেলেছে। আমরা ফেডারেশনকে অনুরোধ করেছিলাম ম্যাচ পেছাতে কিন্তু আমাদের অনুরোধ শোনেনি। ফলে অনুপস্থিত ছিল দল।’ 

মুকুল এই দলের কোচের পাশাপাশি ময়মনসিংহ ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি। কাঁচিঝুলি দলটি ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় আসা যাওয়া করে খেলছে। আজ থেকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আতাউর রহমান ভুঁইয়া কলেজ স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে খেলতে আসতে পারেনি কাঁচিঝুলি। 

ময়মনসিংহ থেকে ঢাকার কমলাপুরে খেলা বেশ কঠিন। ময়মনসিংহে ক্যাম্প, অনুশীলন করেই লিগে অংশ নেবে বাফুফে এটা জেনেশুনেই খেলার অনুমতি দিয়েছেন বলে জানান ময়মনসিংহ ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি। 

পেশাদার ফুটবলে কাঁচিঝুলির তিনটি কারণই গ্রহণযোগ্য নয়। বাফুফে এ রকম দল কেন নেয় সেটাও প্রশ্ন। কাঁচিঝুলিকে কেমন শাস্তি দেয় বাফুফে সেটাই দেখার বিষয়। 

এজেড/এনইউ