কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ব্রাজিল। চিলির বিপক্ষে জয়টা অবশ্য অনায়াস ছিল না। নিজেদের মাঠে তিতের দলটাকে ঠিক সেভাবে চেনা যায়নি। ১-০ গোলের জয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা পেয়েছে সেমিফাইনালের টিকিট। ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ পেরু। এই ম্যাচটিতে ব্রাজিল পাচ্ছে না তাদের ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে। 

বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে চিলির বিপক্ষে ম্যাচে জঘন্য ঘটনার জন্ম দিয়ে লালকার্ড দেখেছেন তিনি। ম্যাচের তখন ৪৮ মিনিট। ব্রাজিল লুকাস পাকেতার গোলে তখন এগিয়ে। অনেকটাই নির্ভার দলটির সমর্থকরা। ঠিক তখনই কিনা ন্যাক্কারজনক এক ঘটনার জন্ম দিলেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। বল দখলে নিতে উড়ে গিয়ে চিলিয়ান লেফটব্যাক ইউজেনিও মেনার মুখেই লাথি মেরে বসেন জেসুস। বেপোরোয়া এক লাথি! দেখে মনে হচ্ছিল যেন তিনি ফ্লাইং কিক মারলেন প্রতিপক্ষের ফুটবলারকে!

ব্যস, এমন ঘটনায় যে ম্যাচে সর্বোচ্চ শাস্তি লালকার্ডটা দেখবেন সেটা আঁচ করতে পারছিলেন জেসুস। তার সতীর্থরাও কোন প্রতিবাদ করলেন না। জেসুস লালকার্ড দেখে মাথা নিচু করেই ছাড়েন মাঠ। তাতে যদি বড় শাস্তি থেকে রক্ষা পান।

রেসলিংয়ের ‘ফ্লাইং কিক’-মেরে জেসুস লালকার্ড দেখার পর ব্রাজিলের অন্য ফুটবলাররা নীরব দর্শকই হয়ে থাকলেন। কারণ ফুটবলের নুন্যতম আইন যাদের জানা, তারা তো বুঝতেই পারছিলেন এমন কাণ্ডে রক্ষা নেই। লাল কার্ড নিশ্চিত। ফুটবল মাঠে খেলোয়াড়দের বড় চোট এড়াতেই মূলত এমন নিয়ম। হাই বুটের ক্ষেত্রে তা মুখে স্পর্শ করলে সরাসরি লাল কার্ড দেখানোর চল আছে ফুটবলমণ্ডলে। সে কারণেই মূলত মেনাকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেছিলেন জেসুস।

এই লাল কার্ডের ফলে জেসুস হয়ে থাকলেন কোচ তিতের ব্রাজিলে খেলে লাল কার্ড পাওয়া একমাত্র ফুটবলার। অবশ্য এভাবে লালকার্ড দেখা ২৪ বছর বয়সী জেসুসের জন্য নতুন নয়। সবশেষ ২০১৯ কোপা আমেরিকার ফাইনালেও লাল কার্ড দেখে দলকে বিপদে ফেলেছিলেন সাও পাওলোতে জন্ম নেওয়া এই ফরোয়ার্ড। 

লাল কার্ডের কারণে পেরুর বিপক্ষে সেমিফাইনালে খেলতে পারছেন না এই স্ট্রাইকার। কমপক্ষে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার কথা তার। সেটি হলে তো টুর্নামেন্ট শেষ ব্রাজিলের হয়ে ১৮ গোল করা জেসুসের। 

এটি/এনইউ